যশোরের চিত্রা মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন জাবির ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেলে আগুন দিয়েছে একদল লোক। এতে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৮৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হোটেলটিতে আরও মরদেহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে আগুন না নেভায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। নিহতদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন, চয়ন (২০) ও সেজান হোসেন (১৯)। যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর প্রচার হওয়ার পরপরই যশোরে একদল লোক রাস্তায় নেমে মিছিল করে। তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, শেখ রাসেলের ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদের মালিকানাধীন পাঁচ তারকা হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনাল, তার বাড়ি ও প্রেসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনাল থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারজন আন্দোলনকারী রয়েছে। শতাধিক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আগুন দেওয়া হয়েছে যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফন্টু চাকলাদারের বাড়িতেও। শহরের চাচড়া এলাকায় নাভারণ প্রিন্টিং প্রেসও ভাঙচুর করা হয়। এই প্রেসটির মালিক যশোর-১ (শার্শা উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন।
এদিকে সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সমন্বয়ক রাশেদ সাংবাদিকদের বলেন, হামলা, ভাঙচুর, আগুন দেওয়ার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এসব কাজ না করার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।