এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা জারি

0
7
শিক্ষা মন্ত্রণালয়
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেসরকারি মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শূন্যপদের বিপরীতে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বদলি নীতিমালা অনুযায়ী, একজন শিক্ষক কর্মজীবনে সর্বোচ্চ দুইবার বদলি হওয়ার সুযোগ পাবেন, তবে একজন শিক্ষিকা কর্মজীবনে সর্বোচ্চ তিনবার বদলির সুযোগ পাবেন।
 
রোববার (২২ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে গত আগস্টে জারি করা নীতিমালাটি বাতিল করা হয়েছে।
 
বদলির সাধারণ শর্তগুলো হলো- এনটিআরসিএ প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শূন্যপদের চাহিদা বা বিবরণ ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে প্রকাশ করতে হবে। বদলির জন্য ১ থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বদলির আদেশ জারি হবে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান সম্পন্ন হবে। আবেদনকারী শিক্ষক তার চাকরির আবেদনে উল্লেখকৃত নিজ জেলায় বদলির জন্য আবেদন করবেন, তবে নিজ জেলায় পদ শূন্য না থাকলে নিজ বিভাগের যেকোনো জেলায় বিদ্যমান শূন্যপদের বিপরীতে বদলির আবেদন করতে পারবে।
 
শর্তের মধ্যে রয়েছে- প্রথম যোগদানের পর চাকরি দুই বছর পূর্ণ হলে বদলির আবেদন করার জন্য যোগ্য হবেন; বদলি হয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পর ন্যূনতম দুই বছর কর্মে নিয়োজিত থাকার পর পরবর্তী বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
 
একজন শিক্ষক কর্মজীবনে সর্বোচ্চ দুইবার বদলি হওয়ার সুযোগ পাবেন, তবে একজন শিক্ষিকা কর্মজীবনে সর্বোচ্চ তিনবার বদলির সুযোগ পাবেন। একটি শূন্যপদের জন্য একাধিক আবেদন পাওয়া গেলে জ্যেষ্ঠতা, নারী ও দূরত্ব বিবেচনায় বদলি অনুমোদন করা হবে; চাকরিতে প্রথম যোগদানের তারিখ থেকে সিনিয়রিটি গণনা করা হবে; একটি পদের জন্য প্রতিযোগী সব আবেদনকারী কর্মস্থল একই উপজেলায় হলে তাদের কর্মস্থল উপজেলার কেন্দ্র থেকে কাঙ্ক্ষিত উপজেলার কেন্দ্রের দূরত্ব গণনা করে সবার জন্য প্রযোজ্য করতেন হবে।
 
শর্তে আরও রয়েছে- একটি পদের জন্য প্রতিযোগী আবেদনকারী বিভিন্ন উপজেলার হলে তাদের কর্মস্থল জেলার কেন্দ্র থেকে কাঙ্ক্ষিত জেলার কেন্দ্রের দূরত্ব গণনা করে সবার জন্য প্রযোজ্য করতে হবে; একটি পদের জন্য প্রতিযোগী আবেদনকারী বিভিন্ন জেলার হলে তাদের স্ব স্ব জেলার কেন্দ্র থেকে কাঙ্ক্ষিত জেলার কেন্দ্রের দূরত্ব গণনা করতে হবে; দূরত্ব পরিমাপের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মডেল অনুসরণ করা হবে; অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্য সংবলিত আবেদন বিবেচনাযোগ্য হবে না। ইচ্ছাকৃত ভুল প্রমাণিত হলে শাস্তি আরোপ করা হবে; বদলির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর এনটিআরসিএ অবশিষ্ট শূন্য পদে নিয়োগের সুপারিশ চূড়ান্ত করবে।
 
আবেদন নিষ্পত্তি যেভাবে বদলির সমগ্র প্রক্রিয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। ডিএমই সফটওয়্যার তৈরি ও অনলাইন আবেদনের ফরমেট নির্ধারণ করবে। বদলি করা শিক্ষকের ইনডেক্স আগের প্রতিষ্ঠান থেকে বদলি করা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ট্রান্সফার হবে। বদলি করা শিক্ষকের এমপিও ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি এবং জ্যেষ্ঠতার ধারাবাহিকতা পূর্ববৎ বজায় থাকবে।
 
আরও যত নিয়ম বদলির আবেদন অধিকার হিসেবে দাবি করা যাবে না। বদলি করাত শিক্ষক কোনো ধরনের টিএ/ডিএ ভাতা পাবেন না। আদেশ জারির ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বদলি করা শিক্ষকের অবমুক্তি নিশ্চিত করবেন। অবমুক্ত হওয়ার পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান যোগদানের তথ্য চেয়ারম্যান, এনটিআরসিএ ও মাউশির মহাপরিচালককে অনলাইনে অবহিত করবেন। অবমুক্তি হতে যোগদান পর্যন্ত দিবসগুলো কর্মকাল হিসেবে গণ্য হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.