বেদনানাশক বা চেতনানাশক ওষুধ ফেনটানাইল উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৫ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসির
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের ১২ প্রতিষ্ঠান, ১৩ ব্যক্তি ছাড়াও কানাডার দুটি প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ফেনটানাইল শক্তিশালী ওপিওড জাতীয় ওষুধ। এটি ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের যে সমস্যা চলছে- সেটিতে বড় ভূমিকা রাখছে এ ওষুধটি।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন এ মাদকটির উৎপাদন শুরু হয় মূলত ‘চীনের রাসায়নিক কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে।’
গত এপ্রিলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, চীন ও মেক্সিকোর মধ্যে ‘ফেনটানাইলের অবৈধ পাচার বলতে কোনো কিছুই নেই।’
মে মাসে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন, ফেনটানাইলের অবৈধ পাচার ঠেকাতে যেন তারা কার্যকর ব্যবস্থা নেয়। এরপরই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন বক্তব্য দিয়েছিল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, মেক্সিকোতে পাচার হওয়া এই মাদক মেক্সিকান মাদক চোরকারবারীরা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায়।
২০২২ সালেই এ মাদক গ্রহণ করে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৮০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনের এসব কোম্পানি এই মাদক পাচারের জন্য ভুয়া ঠিকানা ও লেবেল ব্যবহার করে থাকে।