পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পর আলোচিত ছাগলকাণ্ডে এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই সময়ের টক অব দ্য টপিকে পরিণত হয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ, দুর্নীতি ও অবৈধ আয়ের বিষয়টি। সরকারি কর্মকর্তাদের এই দুর্নীতির বিষয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টও। মতিউরের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আরও কয়েক কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের খবর বেরিয়ে আসছে দুদকের অনুসন্ধানে। এবার এ তালিকায় নাম লিখিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিচালক মো. মোবারক হোসেনও।
বুধবার (৩ জুলাই) রাজউকের পরিচালক মো. মোবারক হোসেন ও তার স্ত্রী শাহানা পারভীনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আলাদা দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দুটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-২) মোবারক হোসেনের দাখিল করা সম্পদ বিবরণী অনুযায়ী ৪১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪৫ টাকার আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অন্য আরেক মামলায় শাহানা পারভিনকে প্রধান আসামি করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সহযোগিতার জন্য মোবারক হোসেনকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় বলা হয়, শাহানা পারভীন পেশায় গৃহিণী হলেও তার নামে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৭৩ হাজার ১৫২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। এই সম্পদ শাহানা পারভিন তার স্বামীর অবৈধ অর্থ দিয়ে গড়েছেন বলে মনে করছে দুদক। সংস্থাটি বলছে, রাজউক পরিচালক মোবারক হোসেন তার অবৈধ সম্পদ গোপন করতেই স্ত্রীর নামে সম্পদ তৈরি করেছেন।
#রাজউকপরিচালক #মোবারকহোসেন #explore #everyone #বাংলাদেশ