কাতার বিশ্বকাপে গোল্ডেন গ্লাভস জয়ের পর অশ্লীল এক উদযাপন করেছিলেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সেই উদযাপন করে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মার্টিনেজ। পর এক সাক্ষাৎকারে মার্টিনেজ বলেছিলেন, সতীর্থদের সঙ্গে মজা করতে ওটা করেছিলাম। আমি দ্বিতীয়বার কখনো একইভাবে করতে চাইব না।
তবে সেই কথা রাখতে পারেননি মার্টিনেজ। বিশ্বকাপের পর প্রীতি ম্যাচেও তেমন উদযাপন দেখা যায়। শুধু মার্টিনেজে নয়, সঙ্গে যোগ দেন তার কয়েকজন সতীর্থ। মার্টিনেজের সঙ্গে যোগ দেন মার্কোস আকুনা, রদ্রিগেজ, এরমান পেৎসেলা এবং জেরোনিমো রুলি। তারা পাঁচজনই বিশ্বমঞ্চের রেপ্লিকা ট্রফি কোমরের সামনের অংশে উঁচিয়ে বিতর্তিক সেই উদযাপনে মেতেছিলেন।
পানামার বিপক্ষে ম্যাচের পর ফুটবলারদের ছাড়াও তাদের সঙ্গিনীরাও এই বিতর্কিত উদযাপনে শামিল হয়েছেন। শুরুটা করেন মার্টিনেজের স্ত্রী মান্ডিনহা। তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন জেরোনিমো রুলির বান্ধবী রোসিয়ো সুয়ারেস, মার্কোস আকুনার বান্ধবী জুলিয়া সিলভা, জার্মান পেজেয়ার বান্ধবী অগাস্টিনা বাসকেরানো এবং গুইদো রদ্রিগেসের বান্ধবী ওয়াদা রামন।
রুলির বান্ধবী সুয়ারেস ছবিটি ইনস্টাগ্রামে দিয়ে লেখেন, ‘ছেলেদের সাফল্য আমরাও ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করছি।’ তবে সেই উচ্ছ্বাসে কোথাও দেখা যায়নি মেসির বান্ধবীকে। ঠিক যেমন মেসি তার সতীর্থদের সঙ্গে সেই উচ্ছ্বাস করেননি। এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে সমালোচনা।
তবে মার্টিনেজ দাবি করেন, কাউকে ছোট করার জন্য এটি করা হয়নি, সমর্থকদের আহ্বানে এটি আবার করা হয়েছে।