এবার ভারতে বাংলাদেশি হাইকমিশনারকে তলব

0
6
দিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নূরুল ইসলামকে ডাকল ভারত।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে রোববার (১২ জানুয়ারি) ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে ব্যাখ্যা চেয়েছে ঢাকা। ঠিক পরদিনই দিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নূরুল ইসলামকে ডাকল ভারত।
 
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
 
এর আগে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয়।
 
রোববার বিকালে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পরে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, অপরাধশূন্য সীমান্ত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যাতে চোরাচালান, মানবপাচার ও অপরাধীদের চলাচল রোধ করা সম্ভব হয়।
 
তিনি জানান, নিরাপত্তার জন্য বর্ডার ফেন্সিংয়ের ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে একটি সমঝোতা আছে। দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এর জন্য যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। আমরা আশা করি, যে সমঝোতা হয়েছে সেটি বাস্তবায়ন হবে। অপরাধ প্রতিরোধের জন্য দু’পক্ষের মধ্যে সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে বলে আমরা আশা করি।
 
অন্যদিকে পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার কাছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সাম্প্রতিক কার্যকলাপ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ ধরনের কার্যকলাপ, বিশেষ করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অননুমোদিত চেষ্টা এবং বিএসএফের সংশ্লিষ্ট অপারেশনাল পদক্ষেপ, সীমান্তে উত্তেজনা ও ঝামেলা সৃষ্টি করেছে।
 
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে। তিনি আশা
 
সম্প্রতি সুনামগঞ্জে বিএসএফ কর্তৃক একজন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.