এবার বিএনপি নেতা আমান, সালাম ও খায়রুল আটক

0
121
বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে

সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে জমায়েত বড় হয়ে রাস্তার এক পাশ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিতে গেলে বেলা তিনটার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় অনেকে আহত হন। বিএনপির দাবি, তাদের বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছে। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চারটি প্রিজন ভ্যানে করে এসব নেতা–কর্মীকে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে   খায়রুল কবির খোকন (বায়ে) ও আবদুস সালামকে

আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে খায়রুল কবির খোকন (বায়ে) ও আবদুস সালামকে

সংঘর্ষের জের ধরে বিকেল সোয়া চারটার দিকে পুলিশের একটি দল বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে। এরপর সাড়ে চারটার দিকে সেখানে আসেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এ সময় ভেতরে ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। প্রায় ২০ মিনিট পর তাঁকে কার্যালয়ে ঢোকার অনুমতি দেয় পুলিশ। তবে তিনি কার্যালয়ে না ঢুকে সামনেই বসে পড়েন। এদিকে সোয়া চারটার পর দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে আটক করে পুলিশ।

সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আহত ২২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন মারা গেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে বিকেল চারটায় ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দা সুমাইয়া বলেন, ‘১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা এসেছি। নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল করছিলাম। পুলিশ অতর্কিতভাবে দুই দিক থেকে আমাদের ওপর হামলা করে। ছররা গুলি ও কাঁদানের গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এখন আমাদের যাকে যেখানে পাচ্ছে, পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সমাবেশের স্থান নিয়ে যখন আলোচনা চলছে, তখন এই সংঘর্ষ শুরু হলো। আজ পল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভিড় করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আমরা তাদের সরে যেতে বারবার অনুরোধ করি। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেনি। একপর্যায়ে তাদের সরিয়ে দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে।’

তবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আটক হওয়ার আগে দাবি করেছিলেন, সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের এ গুলি চালানো সম্পূর্ণ পরিকল্পিত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.