দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ করার অভিযোগ ওঠা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালকে বগুড়ায় বদলি করা হয়েছে।
রোববার (৩০ জুন) এনবিআরের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এনবিআরের প্রথম সচিব (কর প্রশাসন শাখা) শহিদ্দুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ওই আদেশে বলা হয়েছে, অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। তবে বদলির কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
এ ছাড়া বগুড়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-১, কর অঞ্চলে কর্মরত অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফয়সালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
এর আগে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দেন আদালত।
জব্দের আদেশ হওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের ঢাকার একটি ফ্ল্যাট ও ১০ কাঠার দুটি প্লট। এছাড়া তার ও তার স্ত্রীসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ করেছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এনবিআরের প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। এ বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান করছে। প্রাথমিকভাবে দুদকের অনুসন্ধান দল ঢাকায় তার ফ্ল্যাট, দুটি প্লট, সঞ্চয়পত্রসহ ১৬ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পেয়েছে। এসব সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করার জন্য দুদকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আলোচিত সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের খোঁজে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে নথিপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (৩০ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ টিঠি পাঠানো হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, চিঠিতে মতিউর রহমান, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নাম উল্লেখ করে ঢাকা, নরসিংদী ও মুলাদির সাব রেজিস্ট্রার ও ভূমি অফিস, রাজউক, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিসহ বিভিন্ন দপ্তরে পৃথক চিঠি দেওয়া হয়েছে।
গত ৪ জুন মতিউরের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হওয়ার পর কমিশনের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য অনুসন্ধানে গত ২৩ জুন তিন সদস্যের টিম গঠন করে দুদক।