জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস হওয়ার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় আনসার-ভিডিপি বাহিনী ও ব্র্যাক ব্যাংকের এনআইডি তথ্য যাচাই সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যভান্ডারে ১২ কোটির বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এনআইডির সঠিকতা যাচাই করে থাকে। এই সেবা নিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চুক্তি করে থাকে। এর আগেও একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এনআইডির তথ্য ফাঁস হয়েছিল।
হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা নিয়মিত মনিটর করে থাকেন। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ধরা পড়ে, দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য ফাঁসের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিষয়টি ভালোভাবে যাচাই করেন। পরে দেখা যায়, আনসার-ভিডিপি ও ব্র্যাক ব্যাংক থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে।
এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক বলেন, তথ্য ফাঁসের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় এই দুটি প্রতিষ্ঠানের সেবা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
হুমায়ুন কবীর বলেন, ইতিমধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান তাদের (এনআইডি অনুবিভাগ) সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা বলেছে, এটার ব্যাপারে তাদের যে নিয়মকানুন রয়েছে, যে প্রটেকশন মেজারস নিতে বলে, সেগুলো নিশ্চিত করতে বলেছে। যারা জড়িত বলে তাদের কাছে প্রতীয়মান হবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে তাদের কাছে আসতে বলেছে।
এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক বলেন, এরপর চুক্তি অনুযায়ী যা যা করা দরকার, তা করা হবে। এটা চলমান প্রক্রিয়া।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ‘নতুন গ্রাহক সেজে একজন অনেকবার প্রতারণা করার চেষ্টা করেছিল। তবে কোনো তথ্য ফাঁস হয়নি। আমরা ইতিমধ্যে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করেছি। জড়িত ব্যক্তিতে ধরতে পারলে সবার জন্য ভালো শিক্ষা হবে। আমরা এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।’