এতটা আশা করেননি তিনি। ভাবতেও পারেননি এতটা ভালোবাসা পাবেন। ‘পোন্নিইন সেলভান’ ছবির পর সবার থেকে এমনই প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া লক্ষ্মী।
কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে মণিরত্নম পরিচালিত ‘পোন্নিইন সেলভান’-এর দ্বিতীয় ভাগ। ছবিটি বক্স অফিসে দারুণ ব্যবসা করেছে। আর এই ছবির দৌলতে এখন প্রচারের আলোয় ঐশ্বরিয়া লক্ষ্মী। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণি এই নায়িকার নাম।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়া লক্ষ্মী বলেছেন, ‘কল্পনা করিনি আমার চরিত্রটি এভাবে সবার ভালোবাসা পাবে। সবাই এভাবে গ্রহণ করবে। আশা করেছিলাম, হয়তো ছবিটা ভালো চলবে। আর অন্য চরিত্রগুলো জনপ্রিয় হবে; কারণ, চরিত্রগুলোতে সুপারস্টাররা অভিনয় করেছেন। আমি চেয়েছিলাম ঐতিহাসিক চরিত্রের ঐতিহ্যকে পর্দায় যথাযথভাবে তুলে ধরতে। আশা করি তা পেরেছি। আমি যেখানেই যাচ্ছি, সবার ভালোবাসার ছোঁয়া পাচ্ছি।’
এই অভিনেত্রী আরও বলেছেন, ‘এই ছবিতে আমার চরিত্র “পুঙ্গুঢালি”র পর্দা উপস্থিতি কম। তবে এটা আমার কাছে খুব একটা গুরুত্ব পায় না।
কারণ, আমি মণিরত্নমের মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এতেই আমি ধন্য।
আর পুঙ্গুঢালির মতো সাহসী ও শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয় করে আমি আরও বেশি সম্মানিত বোধ করেছি। ‘পোন্নিইন সেলভান’ উপন্যাসে চরিত্রটি আইকন। আমি এ রকমই এক চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলাম। তাই আমি বেশি খুশি।’
একাধিক মালয়ালাম, তামিল, তেলেগু ছবিতে অভিনয় করেছেন ঐশ্বরিয়া লক্ষ্মী। ৩১ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী দক্ষিণে বেশ জনপ্রিয়। ২০১৪ সালে মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। ২০১৭ সালে করেন ‘নাজানডুকালুড নাটিল ওরিদাভেলা’।
তবে ঐশ্বরিয়ার ক্যারিয়ার বদলে দেয় একই বছরে মুক্তি পাওয়া মালয়ালম পরিচালক আশিক আবুর ‘মায়ানদী’।
জঁ-লুক গদারের ‘ব্রেথলেস’-এর প্রেরণায় নির্মিত রোমান্টিক থ্রিলারটির বিভিন্ন সংলাপ বেশ জনপ্রিয় হয়।