এডিসি কামরুল ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ

0
41
মো. কামরুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের মামলায় অভিযুক্ত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি- ক্রাইম) মো. কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী সায়মা বেগমের যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
 
সোমবার (৮ জুলাই) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত এই আদেশ দেন।
 
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হক।
 
দুদকের পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী সায়মা বেগমের নামে সম্পদ ক্রোক ও জব্দ না করা গেলে তা হস্তান্তর হয়ে যেতে পারে। পরে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না।
 
তিনি আরও বলেন, ক্রোক হওয়া সম্পত্তি হস্তান্তর করা যাবে না। জব্দকৃত ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা দেওয়া গেলেও উত্তোলন করা যাবে না। সেই মর্মে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার, এসি ল্যান্ড, বিএসইসি ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 
দুদক সূত্র জানায়, ১৯৮৯ সালে পুলিশের উপ পরিদর্শক পদে নিয়োগ লাভের পর চাকরির ধারাবাহিকতায় বর্তমানে সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম) পদে কর্মরত আছেন কামরুল হাসান। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তার নামে ১২ কোটি ৭২ লাখ ৯২ হাজার ২১৬ টাকার স্থাবর এবং ১ কোটি ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ২১৬ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি সহ মোট ১৩ কোটি ৯৬ লাখ ৩১ হাজার ৯১১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।
 
ওই সম্পদের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৪ কোটি ৮০ লাখ ৩২ হাজার ৮৭ টাকা। তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৯ কোটি ৭৩ লাখ ২২ হাজার ৪৪ টাকা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.