এজেন্ট জানেন না প্রার্থীর নাম, ভোটার উপস্থিতি নগণ্য

0
173
কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারের চেয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি বেশি দেখা যায়

মো. নবী নুর। গলায় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে একতারা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের কার্ড ঝুলিয়ে পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। সোমবার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরের মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ৪ নম্বর বুথে দায়িত্ব পালনকারী এই পোলিং এজেন্টের কাছে জানতে চাইলে নবী নুর বলতে পারলেন না তিনি কোন প্রার্থীর এজেন্ট।

এমনকি পাশে বসা আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাতের এজেন্ট মো. জাকারিয়ার সহযোগিতা নিয়েও প্রার্থীর নাম বলতে পারছিলেন না তিনি। একপর্যায়ে তিনি দাবি করেন, স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করতে এলে তাকে হিরো আলমের এজেন্ট হিসেবে বসিয়ে দেওয়া হয়।

তবে কে বা কারা তাকে পোলিং এজেন্ট হিসেবে বসিয়েছেন, তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান নুর নবী।

আজ সকাল ৮টা থেকে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে সকাল থেকে ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের বেশিরভাগই ফাঁকা দেখা যায়। সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে দুই-একজন করে ভোটার ভোট দিতে আসছেন।

সরেজমিনে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে ভোটারের চেয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। এমনকি ভোটগ্রহণ শুরুর প্রথম ২ ঘণ্টায় একটি ভোটও পড়েনি এমন বুথও চোখে পড়েছে।

সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ২ নম্বর মহিলা বুথের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কোহিনূর খানমন জানান, তার বুথের ৫৭৬ ভোটারের মধ্যে তখন পর্যন্ত কোনো ভোটার ভোট দিতে আসেননি।

তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০। ১২৪টি কেন্দ্রের ৬০৫টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে।

ঢাকা-১৭ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে দলীয় প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল ইসলাম স্বপন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের আকবর হোসেন।

এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম (হিরো আলম) এবং তারিকুল ইসলাম।

এসব প্রার্থীর মধ্যে প্রচারণায় বেশি তৎপর ছিলেন নৌকা প্রতীকের মোহাম্মদ এ আরাফাত, একতারা প্রতীকের হিরো আলম এবং জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের সিকদার আনিসুর রহমান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.