ফেভারিট হিসেবেই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। মাঠেও তার প্রমাণ দিয়েছে স্বাগতিকরা। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দ্বিতীয় ম্যাচে ডাচদের ৯ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সিলেটে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ১০৪ রানের লক্ষ্য দেয় নেদারল্যান্ডস। জবাব দিতে নেমে ৪১ বল এবং ৯ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে তারা।
সহজ লক্ষ্য করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন ওপেনার পারভেজ ইমন। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। ২১ বলে ২৩ রান করে ফেলেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। এরপর লিটনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম।
লিটনের সঙ্গে ৪১ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন তিনি। এ ছাড়াও ৩৯ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন তামিম। শেষ পর্যন্ত লিটনের ১৮ রান এবং তামিমের ৪০ বলের অপরাজিত ৫৪ রানে ভর করে ৪১ বল এবং ৯ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নেদারল্যান্ডসের। পাওয়ার প্লেতেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ডাচরা। তৃতীয় ওভারে নাসুম আহমেদকে বোলিংয়ে আনেন লিটন। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে একাদশে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করেন তিনি।
ওভারের দ্বিতীয় বলে ম্যাক্স ও’ডাউড (৮) এবং পরের বলে তেজা নিদামানুরুকে ডাক আউট করেন এই টাইগার স্পিনার। অপর প্রান্ত থেকে রান তোলার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার বিক্রমজিৎ সিং। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৭ বলে ২৪ রান করে তাসকিনের প্রথম শিকার হন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।
চতুর্থ উইকেটে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। কিন্তু মাত্র ৯ রান করে মোস্তাফিজের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। এরপরই শুরু হয় ডাচদের উইকেট মিছিল। নোয়াহ ক্রুস (২), শারিজ আহমেদ (১২), সিকান্দার জুলফিকার (২), কাইল ক্লেইন (৪) ও পল ফন মিকেরেন (৩) রানে আউট হলে ৮১ রানে ৯ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
শেষ দিকে লড়াই করতে থাকেন আরিয়ান দত্ত। তবে ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে এই ডান হাতি ব্যাটার বোল্ড আউট হলে ১০৩ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস। ২৪ বলে ৩০ রান করেছেন আরিয়ান।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন নাসুম আহমেদ। এ ছাড়াও তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান দুটি করে শিকার করেন। আর শেখ মাহেদী ও তানজিম হাসান সাকিব নেন একটি করে উইকেট।