স্মার্ট বাংলাদেশে হুয়াওয়ে ‘গাইড’

0
132
গাইড সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার হেড অব মিডিয়া তানভীর আহমেদ।

বিশ্বের অন্যতম আইসিটি ইক্যুইপমেন্ট ও সল্যুশন সেবাদাতা ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে বাংলাদেশের আইসিটি ও টেলিকম খাতে সহযোগীদের জন্য মাসজুড়ে সেমিনার ও কর্মশালার ঘোষণা দিয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে ‘গাইড টু দ্য ইন্টেলিজেন্ট বাংলাদেশ’ শিরোনামে বাংলাদেশের জন্য প্রাসঙ্গিক বর্তমান বিশ্বের অভিনব উদ্ভাবন ও সল্যুশন নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।

সাধারণ ভোক্তাদের জন্য স্মার্ট নেটওয়ার্কে থ্রিজি-ফোরজি সেবার নিত্যনতুন উন্নয়নে কাজ করছে হুয়াওয়ে। অন্যদিকে ফাইভজি নিশ্চিত করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ইন্ড্রাট্রিয়াল সেবা। যা মূলত শিল্পোন্নয়নের কাজে ব্যবহৃত হয়। সবখানেই ইকোসিস্টেম জরুরি। কারণ ইকোসিস্টেম ছাড়া সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় না।

গাইড আসলে কী 

গাইড (জিইউআইডিই), যার পূর্ণ রূপ গিগাভার্স ইনিশিয়েটিভ, আল্ট্রা-অটোমেশন স্পিডআপ, ইনটেলিজেন্ট কম্পিউটিং অ্যান্ড নেটওয়ার্ক অ্যাজ আ সার্ভিস, ডিফারেনশিয়েটেড এক্সপেরিয়েন্স অন ডিমান্ড, ও এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভার্নেন্স। হুয়াওয়ে ও সংশ্লিষ্ট খাতের সব অংশীজনেরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, প্রয়োগ ও স্মার্ট গভার্নেন্স বিষয়ে সরাসরি আলোচনায় অংশ নেবে।

রাজধানী ঢাকার গুলশানে অবস্থিত সোমবার (৮ মে) হুয়াওয়ে বাংলাদেশ অ্যাকাডেমিতে আয়োজনের প্রথম দিনে মিডিয়া সেশন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া অফিসের প্রিন্সিপাল মার্কেটিং ম্যানেজার এস এম নাজমুল হাসান এবং হেড অব মিডিয়া তানভীর আহমেদ।

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রিন্সিপাল মার্কেটিং ম্যানেজার এস এম নাজমুল হাসান জানালেন, দৈনন্দিন বিভিন্ন খাতের কার্যক্রম পরিচালনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি এখন গুরুত্বপূর্ণ সঞ্চালক। তাই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে ও ডিজিটাল রূপান্তরে সঠিক প্রযুক্তিগত সমাধান চিহ্নিত করার মাধ্যমে সে সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার হেড অব মিডিয়া তানভীর আহমেদ জানান, উদ্ভাবন হুয়াওয়ে ব্র্যান্ডের মূল চালিকাশক্তি। হুয়াওয়ের অর্ধেকের বেশি কর্মী গবেষণা ও উন্নয়ন (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-আরঅ্যান্ডডি) কর্মী হিসেবে নিয়োজিত। বিনিয়োগের বড় অংশই ব্যয় হয় গবেষণা ও উন্নয়নে। ২০২২ সালে আয়ের ২৫.১ শতাংশ (দুই লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা প্রায়) গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করে হুয়াওয়ে।

সারাবিশ্বে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সমাধান ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বিশদ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। যা বাংলাদেশের ইকোসিস্টেমের জন্যও বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। নতুন উদ্ভাবন ও আইসিটি খাতের অগ্রগতিতে দেশের রূপান্তরে ও দেশকে সমৃদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। যার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাব বলে জানালেন এস এম নাজমুল হাসান।

গাইড নিয়ে বক্তব্য রাখছেন হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রিন্সিপাল মার্কেটিং ম্যানেজার এস এম নাজমুল হাসান।

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রিন্সিপাল মার্কেটিং ম্যানেজার এস এম নাজমুল হাসান জানালেন, টুজি-থ্রিজি-ফোরজি-ফাইভজি সেবার নিত্যনতুন উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করে হুয়াওয়ে। বিশ্বের ১৭০টি দেশ ও অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সেবার মানোন্নয়নে স্বনামধন্য অপারেটরদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। তা ছাড়া কুলিং ও পাওয়ার খাতে ফিউশন ঘরানার উন্নয়নে হুয়াওয়ে সাফল্যের সঙ্গে সমাধান দিতে সক্ষম। সাব-থ্রিজি গিগাহার্জ প্রযুক্তিতে সবার দুয়ারে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার হেড অব মিডিয়া তানভীর আহমেদ জানালেন, স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে প্রযুক্তি সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে। ফলে ইকোসিস্টেমে সবার একসঙ্গে কাজ করাটা জরুরি। যে কারণে যখনই নতুন কোনো প্রযুক্তি আসবে তাতে সবাই মিলে অন্তর্ভুক্ত হলেই এগিয়ে যাওয়া সহজ হবে।

হুয়াওয়ে বেস্ট মোবাইল ইনোভেশন ফর এমার্জিং মার্কেটস, ফাইভজি ইন্ডাস্ট্রি চ্যালেঞ্জ, বেস্ট মোবাইল টেকনোলোজি ব্রেকথ্রু ও বেস্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের জন্য এমডব্লিউসি বার্সেলোনা ২০২৩ ফর গ্লোমো’র চারটি পুরস্কার অর্জন করেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.