কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের জালে প্রথমার্ধে দুই গোল দেয় আর্জেন্টিনা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে এক মিটিনের ব্যবধানে দুই গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
ম্যাচের ২৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে প্রথম এগিয়ে নেন লিওনেল মেসি। এরপর গোল করেছেন ফাইনালের ‘নায়ক’ ডি মারিয়া।
ফ্রান্স তাদের বক্সে ডি মারিয়াকে ফাউল করে। উসমান ডেম্বেলের সঙ্গে আলতো ধাক্কা লাগতেই পড়ে যান তিনি। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। মেসি তা থেকে গোল করে আসরের সর্বোচ্চ ছয় গোল করেছেন। গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে এগিয়ে গেছেন। এরপর ৩৬ মিনিটে দুর্দান্ত এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে আকাশি-সাদারা।
মেসির ওয়ান টাস পাস ধরে বল টেনে নেন ম্যাক আলিস্টার। বক্সের মুখে গিয়ে তা বাড়ান ডি মারিয়াকে। গোলরক্ষকের সঙ্গে ওয়ান অন ওয়ানে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি আলবিসেলেস্তেদের নাম্বার ইলেভেন।
ইতালি ও ব্রাজিলের পরে তৃতীয় দেশ হিসেবে টানা দুটি বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ ছিল ফ্রান্সের। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের চ্যালেঞ্জ আর্জেন্টিনার। বিশ্বকাপ ছুঁয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার পালা মেসির। মর্যাদার ওই লড়াইয়ে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে মাঠে নেমেছে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা।
ফ্রান্স দুর্দান্ত ফুটবল খেলে ফাইনালে এসেছে। আসরের শুরু ভালো না হলেও আর্জেন্টিনা পরের ম্যাচগুলোতে দৃঢ়তা দেখিয়েছে। মেসি দারুণ ছন্দে আছেন। ফ্রান্সের গতিময় ফরোয়ার্ড কিলিয়ন এমবাপ্পে দুর্দান্ত খেলছেন। শিরোপা লাতিনে যাবে নাকি ইউরোপে তারা দু’জনই ঠিক করে দিতে পারেন।