সবশেষ লাল-সবুজের জার্সিতে তাকে দেখা গেছে ২০২৩ সালের মে’তে। মাঝে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপসহ ঘরের মাঠে ভারত-পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষেও দলে ছিলেন না তারকা পেসার জাহানারা আলম। এরপর মাঝে দীর্ঘ ১ বছর কেটে গেলেও ডাক পাচ্ছিলেন না তিনি। অবশেষে আসন্ন এশিয়া কাপে আবারও দেশের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন জাহানারা। সবশেষ নারী ডিপিএলে হন আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। যা তাকে শ্রীলঙ্কার মাটিতে হতে যাওয়া এশিয়া কাপ দলে সুযোগ পাইয়ে দেয়।
লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও পথহারা হননি জাহানারা। ফেরার লড়াইয়ে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে নিজেকে প্রস্তুত রেখেছেন যেকোনো সময়ের জন্য। শুক্রবার বিসিবির প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় জাহানারা বলেন, ‘প্রতিটি সময় আমি নিজেকে প্রস্তুত রেখেছি যেন নারীর দলে যখনই আমার প্রয়োজন হবে আমি যেন প্রস্তুত হয়ে থাকতে পারি।’
জাতীয় দলের খেলা না থাকলে দলের বাহিরে থাকা জাহানারা মিরপুরে তেমন প্রস্তুতির সুযোগ পাননি। তাই নিজেকে তৈরি করার জন্য বেছে নিয়েছেন ঢাকার অদূরে মাস্কো সাকিব ক্রিকেট একাডেমিকে। সেখানে কোচ সালাউদ্দিনের পরামর্শ মতে প্রস্তুতি নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই দীর্ঘ এক বছরের মধ্যে আমি ৯ মাস ট্রেনিং করেছি মাস্কো একাডেমিতে। সালাউদ্দিন স্যারসহ ওখানে যারা কোচিং স্টাফ ছিলেন তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আমার সাথে।’
জাহানারা আরও বলেন, ‘চেষ্টা করেছি যেন ভালো পারফরম্যান্স করতে পারি। প্রতিটি সময় আমি নিজেকে প্রস্তুত রেখেছি। যেন নারী দলে যখনই আমার প্রয়োজন হবে, প্রস্তুত থাকতে পারি। শেষ প্রিমিয়ার লিগেও দারুণ পারফরম্যান্স হয়েছে৷ দীর্ঘ ৯ মাসের পরিশ্রম বলতে পারেন। সবকিছু মিলিয়ে এটা দারুণ অনুভূতি যে আমি আবারও বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারব।’
এ ছাড়া আসন্ন এশিয়া কাপে নিজের লক্ষ্য নিয়ে জাহানারা বলেন, ‘এশিয়া কাপে দলের প্রথম লক্ষ্যই থাকবে ভালোভাবে সেমিফাইনাল খেলা। আমরা যদি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনাল খেলতে পারি তাহলে হয়তো পাকিস্তানের সাথে সেমিফাইনালে ফেস হতে পারে। এদিক থেকে আমাদের জন্য একটু ইজি হতে পারে এবং অবশ্যই আমরা সেটাই চেষ্টা করব। পজিটিভ রেজাল্ট, আমরা যদি বাংলাদেশ দলের জন্য নিয়ে আসতে পারি এটা আমাদের জন্য ভালো হবে। আমরা চেষ্টা করবো আমাদের সুখস্মৃতিতে ব্যাক করার জন্য যেটা ২০১৮ সালে করেছিলাম৷ আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য থাকবে প্রত্যেকটা ম্যাচে আমি যেন কন্ট্রিবিউট করতে পারি দলের জয়ে।’