ক্রিকেটের জন্ম ইংল্যান্ডে আর লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড ক্রিকেটের তীর্থ। সেই লর্ডসেই ৩৫টি স্কুলের ৯৪৩ শিশুকে ক্রিকেট শিখিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাল দাতব্য সংস্থা চান্স টু শাইন (দ্যুতি ছড়ানোর সুযোগ)।
গতকাল দেশটির বিভিন্ন প্রান্তের ৩৫টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয় লর্ডসে। সেখানে তাদের ক্রিকেটের পাঠ দেওয়া হয় এবং এ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শিশুদের ক্রিকেট শেখা দেখতে অনেক দর্শকও হাজির ছিলেন। দর্শকের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত মুখ ছিলেন বিবিসির গ্ল্যাডিয়েটর্স শোর তারকা ফিউরি।

এক দিনে সবচেয়ে বেশি শিশুকে ক্রিকেট শেখানোর আগের বিশ্ব রেকর্ড হয়েছিল ২০২২ সালে; সেবার বার্মিংহামে ৬৪৫ শিশুকে ক্রিকেট পাঠ দেওয়া হয়েছিল। এবার আরও ২৯৮টি শিশু এ আয়োজনে অংশ নিয়েছে।
জনপ্রিয়তায় ফুটবল এগিয়ে থাকলেও ইংল্যান্ডের জাতীয় খেলা ক্রিকেট। খেলাটি স্কুলশিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আরও বেশি ছড়িয়ে দিতে কাজ করে আসছে দাতব্য সংস্থা চান্স টু শাইন।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের কর্মকর্তারা কাল লর্ডসে উপস্থিত ছিলেন। ৯৪৩টি শিশু এদিন ক্রিকেট শেখার পর কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেন, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট পাঠ এবং এর স্বীকৃতি হিসেবে চান্স টু শাইন কর্তৃপক্ষকে তাঁরা সনদপত্র প্রদান করেন।

গ্ল্যাডিয়েটর্স তারকা ফিউরি বলেন, ‘এখানে সব ধরনের শিশুই আছে। কেউ কেউ হয়তো লাজুক, যেমনটা আমি শৈশবে ছিলাম। আমার মনে হয়, এ আয়োজন নতুন বন্ধু তৈরি করার, একসঙ্গে কাজ করার এবং দক্ষতা তৈরির দারুণ একটি উপায়।’