ঈদের ছুটির পাঁচ দিন পর গতকাল রোববার ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। এক দিনেই চারটি স্থলবন্দর দিয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দরের দায়িত্বশীল সূত্র।
আজ সোমবার আমদানি আরও বাড়তে পারে বলে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। ঈদের আগে কাঁচা মরিচের দাম বাড়তে থাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আমদানির অনুমতি দেয়। অনুমতি দেওয়ার পর গত ২৬ জুন প্রথম কাঁচা মরিচ আমদানি হয়।
এদিন সোনামসজিদ ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে তিনটি প্রতিষ্ঠান ৩৮ হাজার ৬৭১ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি করেছে। ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে গত মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত পাঁচ দিন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়নি। তবে ছুটি শেষ হওয়ার পর গতকাল থেকে আবারও আমদানি শুরু হয়েছে।
দেশে মরিচের কেজি ৫০০ টাকার বেশি
ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বাড়তে থাকে। ঈদুল আজহার পরে তা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। গত কয়েক দিনে পাইকারি পর্যায়ে কেজি ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল। এ সময় খুচরা বাজারে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। তবে আমদানির খবরে এখন আবার দাম কমতে শুরু করেছে।
স্থলবন্দর কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল যশোরের বেনাপোল, সাতক্ষীরার ভোমরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ও দিনাজপুরের হিলি—এই চার স্থলবন্দর দিয়ে ছয়জন ব্যবসায়ী ১ লাখ ১৪ হাজার কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি করেছেন। নথিপত্রে তারা কেজিপ্রতি ৩২ টাকা দরে আমদানির ঘোষণা দিয়েছেন। কেজিপ্রতি শুল্ককর পরিশোধ করেছেন ৩৩ টাকা। এই হিসেবে কেজিপ্রতি আমদানি খরচ ৬৫ টাকা পড়েছে।
সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের দাম
তবে নাম প্রকাশ না করে দিনাজপুরের একজন আমদানিকারক আজ জানান, ঈদের আগে ভারত থেকে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের ‘আসল’ আমদানিমূল্য ছিল ৬৫ রুপি (প্রায় ৮৬ টাকা)।
এখন তা বেড়ে হয়েছে ৯২ রুপি (প্রায় ১২২ টাকা)। আগে ঋণপত্র খোলার কারণে নতুন দর তারা দেখাতে পারছে না। অর্থাৎ আসল দর আমলে নেওয়া হলেও কাঁচা মরিচ আমদানিতে শুল্কসহ কেজিপ্রতি খরচ পড়ছে ১৫৩ টাকা।
ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, পরিবহন ও সংরক্ষণজনিত খরচ বাদ দিলেও আমদানি করা কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি ২০০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।