এক জালে ধরা পড়ল ৬০ মণ ইলিশ, বিক্রি সাড়ে ১৪ লাখ টাকায়

0
18
টেকনাফের নাফ নদীতে এক টানেই জেলেদের জালে উঠে এসেছে ৬০ মণ ইলিশ। পরে এসব মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়। আজ রাত আটটার দিকে

অন্যান্য দিনের মতোই আজ মঙ্গলবার দুপুরে নদীতে জাল ফেলেছিলেন পাঁচ জেলে। তবে দিনটা ছিল ব্যতিক্রম। নদী থেকে জাল তুলতেই তাঁরা দেখেন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। ওজনে যা পুরো ৬০ মণ।

আজ সন্ধ্যায় কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে এ ঘটনা ঘটে। যে জালটিতে মাছ ধরা পড়েছে, এটি ছিল জেলে মোহাম্মদ ঈমান হোসেনের। তিনি টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা। ধরা পড়া এসব ইলিশ স্থানীয় কায়ুকখালীয়া বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে দাম পড়েছে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকা।

স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জালটি ১০০ থেকে ১৫০ ফুট লম্বা ছিল। সাগরে জোয়ার শুরু হলে পাঁচজন মাঝি মিলে নৌকা দিয়ে নাফ নদীতে জালটি ফেলে আসেন। এরপর সন্ধ্যার দিকে ভাটা শুরু হলে জাল তোলার কাজ শুরু হয়। দুই পাশে ১২ জন জেলে কোমরে রশি বেঁধে এ জাল টেনে পাড়ে তোলেন। সেখান থেকে বিভিন্ন বাহনে মাছ ফিশারিঘাটে নিয়েছেন তাঁরা।

টেকনাফের কায়ুকখালীয়া খালের হাকিম ফিশারিজের পরিচালক মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুপুরে জাল ফেলার পর সন্ধ্যায় তোলা হয়। এরপর স্থানীয় বাজারে আনা হয় মাছগুলো। প্রতিটি ইলিশ মাছের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী আবদুর রশিদ মাছগুলো কিনেছেন।

পরে ব্যবসায়ী আবদুর রশিদ বলেন, প্রতি কেজি ইলিশ তিনি ৬০০ টাকায় কিনেছেন। সব মিলিয়ে দাম দিয়েছেন ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এরপর এসব ইলিশ তিনি বরফ দিয়ে রেখেছেন। আগামীকাল এসব চট্টগ্রামে পাঠানো হবে। সেখানে ভালো দামে বিক্রি করবেন বলে তাঁর আশা।

জানতে চাইলে উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত শনিবার মধ্যরাতে ২২ দিনের ইলিশ প্রজনন মৌসমের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা কোনো ধরনের মাছ শিকার করতে নাফ নদী ও সাগরে নামেননি। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরপরই এক জেলের জালে হঠাৎ প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ার খবর শুনেছি।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.