এক ঘণ্টায় এক কেন্দ্রে ৩৪ ভোট, আছেন শুধু নৌকার এজেন্ট

0
137

চট্টগ্রাম-১০ (হালিশহর-ডবলমুরিং) আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোট নেওয়া শুরু হয়। তবে সকালের দিকে ভোটারের উপস্থিতি কম দেখা গেছে।

সকাল ৯টায় পাঁচলাইশ থানার আরকান হাউজিং সোসাইটিতে নতুনকুঁড়ি আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি খুব কম। কেন্দ্রটিতে দুই হাজার ৫৬৬ জন ভোটার থাকলেও ছয় বুথে এক ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র ৩৪টি। আর এই ছয়টি বুথের কোনোটিতে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যকোনো প্রার্থীর এজেন্টও দেখা যায়নি।

এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মনিষ দেবনাথ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট দেওয়া হয়নি। ভোটাররা আসছেন, তবে কম। বেলা বাড়লে ভোটারও বাড়বে।’

ভোটার খুব একটা না থাকায় নিজেদের মধ্যে আড্ডায় সময় পার করতে দেখা যায় সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তা-এজেন্টদের। ভোট কেন্দ্রের বাইরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কয়েকজন সমর্থককে তৎপর দেখা যায়। কেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্য থাকলেও তাদের তেমন কিছু করতে হচ্ছে।

রোববার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৫৬টি কেন্দ্রের ১২৫১টি বুথে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), জাতীয় পার্টির মো. সামসুল আলম (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া (রকেট)।

রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য চার হাজার ১০৬ জন কর্মকর্তা এবং দুই হাজার ১১০টি ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে দায়িত্ব পালনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দিতে শনিবার (২৯ জুলাই) থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

গত ২ জুন ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হওয়া এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন। এদের মধ্যে দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯২৯ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৮০ জন নারী ভোটার। ভোটকেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।

চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ১৬৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার ৩১৪ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং দুই হাজার ৬২৮ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.