‘বয়স তো অনেক হয়েছে। অনেক কিছুই দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। বাকি ছিল ডিমের এ দুর্দশা দেখার। সেটিও আল্লাহ তায়ালা দেখাইল। ভাবতেও অবাক লাগে, ফার্মের মুরগির ডিমের হালিও ৫৫-৫৬ টাকা। আমরা সাধারণ ক্রেতারা কী কিনব, আর কী খাব?’ পটুয়াখালীর নিউমার্কেট বাজারে কথাগুলো বলছিলেন ক্রেতা মো. মোসলেম উদ্দিন মিয়া (৬২)।
জানা গেছে, পটুয়াখালীতে এক কেজি চালের দামেও মিলছে না এক হালি মুরগির ডিম। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ডিমের দামও বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়। এটি সোয়া কেজি চালের দামের সমান। চাল ব্যবসায়ী পরিমল চন্দ্র বলেন, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চাল সর্বনিম্ন ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোয়া কেজি চালের দাম ৫৬ টাকা।
বাজার থেকে হাঁস ও দেশি মুরগির ডিম উধাও হয়ে গেছে। সোমবার শহরের নিউমার্কেট ও নতুন বাজার এলাকায় ঘুরেও কোনো দোকানে পাওয়া যায়নি হাঁস ও মুরগির ডিম। মানুষের পুষ্টির অন্যতম উৎসটি এখন সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, এক সপ্তাহ আগেও প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ছিল ৪৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে হালিপ্রতি ১১-১২ টাকা বেড়েছে। একটি ডিমের দাম পড়ছে প্রায় ১৪ টাকা। ডিমের উচ্চমূল্যের কারণে শহরের অলিগলির দোকানে কিংবা ফেরি করে যারা ডিম বিক্রি করতেন, তারা আর বেচছেন না।
নতুন বাজার এলাকার ব্যবসায়ী খোকন কুমার দে বলেন, বাজারে ডিমের সংকট চলছে। হাঁস ও দেশি মুরগির ডিম নেই। এ কারণে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের কিছু করার নেই।
নিউমার্কেট বাজারের পাইকারি বিক্রেতা শান্তা ট্রেডার্সের মালিক সুভাষ চন্দ্র পাল বলেন, বাজারে ডিমের সংকটের কারণে দাম বেড়েছে। তেমন কোনো মাছও নেই। এতে ডিমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে। দু’চার দিনের মধ্যে ডিমের বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আশা তার।
পটুয়াখালী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহ শোয়াইব মিয়া বলেন, বাজার তদারকি অব্যাহত আছে। ডিমের বাজারের ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতি বেশিদিন থাকবে না। দু’এক দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
রাঙ্গামাটিতে বিভিন্ন খুচরা দোকানে ডিমের হালি ৬০টাকা, তবে ১০০টাকায় ৭টা ডিম দিচ্ছে দোকানদার।