যাচাই-বাছাইসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ শেষে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির কাজটি হবে আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহায়তায় এবারও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ভর্তি কার্যক্রমটি চলছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের জ্যেষ্ঠ সিস্টেম অ্যানালিস্ট মঞ্জুরুল কবীর বলেন, প্রথম দিনে আবেদন করেছে ২ লাখ ৮৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।
সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি কত নেওয়া যাবে, তা–ও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় এমপিওভুক্ত (বেতন-ভাতা বাবদ মাসিক অনুদান) প্রতিষ্ঠানে সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি মিলিয়ে নেওয়া যাবে পাঁচ হাজার টাকা। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মহানগর এলাকায় এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে তিন হাজার টাকা, জেলায় দুই হাজার টাকা এবং উপজেলা বা মফস্সল এলাকার প্রতিষ্ঠানে দেড় হাজার টাকা নেওয়া যাবে। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান কোনোভাবেই উন্নয়ন ফি নিতে পারবে না।
আর ঢাকা মহানগরে অবস্থিত এমপিওভুক্ত নয় বা আংশিক এমপিওভুক্ত (যেমন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ) প্রতিষ্ঠানের বাংলা ভার্সনে সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি মিলিয়ে সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে নেওয়া যাবে সাড়ে আট হাজার টাকা। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মহানগর এলাকার এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে বাংলা ভার্সনের জন্য পাঁচ হাজার ও ইংরেজি ভার্সনের জন্য ছয় হাজার টাকা নেওয়া যাবে। এ ছাড়া জেলায় অবস্থিত এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে বাংলা ভার্সনে তিন হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে চার হাজার টাকা এবং উপজেলা বা মফস্সল এলাকার প্রতিষ্ঠানে সেশন চার্জ ও ভর্তি মিলিয়ে নেওয়া যাবে বাংলা ভার্সনে আড়াই হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে তিন হাজার টাকা।
গত ২৮ নভেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন। বিপুল এই শিক্ষার্থীরা এখন উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির অপেক্ষায় আছে। তবে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় যত শিক্ষার্থী পাস করেছে, তারা সবাই যদি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়, তারপরও সাড়ে সাত লাখের বেশি আসন খালি থাকবে। কারণ, এবার একাদশ শ্রেণিতে আসন আছে ২৫ লাখের বেশি। তবে অন্যান্য বছরের মতো এবারও তুলনামূলকভাবে ‘ভালো মানের’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য চাপ বেশি হবে। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠানে আসন কম।