একশর আগেই অলআউট লঙ্কনরা, সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

0
17
বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে ইতোমধ্যে ব্যর্থতা হয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও এগিয়েছিল লঙ্কানরা। তবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে ৮৩ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা এনেছে মিরাজ-রিশাদরা।

রোববার (১৩ জুলাই) আগে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কাকে ১৭৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে টাইগারদের আগুনে বোলিংয়ে মাত্র ৯৪ রানেই গুঁটিয়ে যায় লঙ্কানরা। এতে ৮৩ রানের বড় জয়ে ১-১ ব্যবধানে সিরিজে সমতা এনেছে টাইগাররা। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারণী।

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট চালাতে থাকেন কুশল মেন্ডিস। তবে দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে এই লঙ্কানকে রান আউট করেন শামীম। ৫ বলে ৮ রান করেন মেন্ডিস। তিনে ব্যাট করতে নেমে আলো ছড়াতে পারেননি কুশল প্যারেরা।

শরিফুলের বলে ডাক আউট হন তিনি। প্যারেরার পর ব্যাটিংয়ে আসেন অভিষ্কা ফার্নান্দো। কিন্তু ৫ বলে ২ রান করার এই ব্যাটারকে ক্যাচ আউটের ফাঁদে ফেলেন শরিফুল। এতে নিজের জোড়া উইকেট তুলে নেন তিনি।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে সাইফউদ্দিনের হাতে বল তুলে দেন লিটন। প্রথম বলে ওয়াইট ইয়োরকার বল প্রথমে ব্যাটের সঙ্গে স্পর্শ হয়নি মনে হলেও লিটনকে রিভিউ নিতে উৎসাহিত করেন মিরাজ। আর শেষ পর্যন্ত রিভিউ কল্যাণে আসালাঙ্কাকে ফেরান সাইফউদ্দিন। এতে পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে লঙ্কানরা।

কিন্তু প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করে যাচ্ছিলেন নিশাঙ্কা। তবে ১১তম ওভারে এই ওপেনারকে বিহাইন্ড দ্য উইকেটে ফাঁদে ফেলেন রিশাদ। ২৯ বলে ৩০ রান করেন নিশাঙ্কা। এক বল পরে রিশাদকে ক্যাচ উপহার নেন চামিকা করুণারত্নে।

নিশাঙ্কাকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন দাসুন শানাকা। তবে ১২তম ওভারের প্রথম বলে মিরাজের প্রথম শিকার হন তিনি। ১৬ বলে ২০ রান করেন শানাকা। এরপর ৬ বলে ৮ রান করে আউট হন ভ্যান্ডারসি।

এরপর থিকশানা (৬) ও বিনুরা ফার্নান্দো ৬ রানে আউট হলে ১৫ ওভার ২ বলে মাত্র ৯৪ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। এতে ৮৩ রানের বড় জয় পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন রিশাদ হোসেন। এ ছাড়াও শরিফুল ইসলাম-সাইফউদ্দিন দুটি করে এবং মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ইমনের স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন লঙ্কান পেসার তুষারা। ৩ বলে শূন্য করে ফেরেন এই ওপেনার। দ্বিতীয় ওভারের বিনুরার কয়েকটা বল দেখে শুনেই খেলছিলেন তামিম। কিন্তু ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি মারতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ আউট হন এই তরুণ ওপেনার। ৮ বলে ৫ রান করেন তিনি।

দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও লিটন কুমার দাস। দুজনের ব্যাটে ভর করে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি হৃদয়। ২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ২৫ বলে ৩১ রান করেন তিনি। দুই বল পরে ক্যাচ আউট হন মিরাজ।

কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন লিটন। ১ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৩৯ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। তাকে সঙ্গ দিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন শামীম পাটোয়ারী। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১৮ ওভারে ১৫০ রানের কোটা পার করে বাংলাদেশ।

১৯তম ওভারের প্রথম থিকসানাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন লিটন। ৫০ বলে ৭৬ রান করেন এই টাইগার অধিনায়ক। শেষ দিকে ২ বলে ৩ রান করে জাকির আউট রান হলেও ফিফটি জন্য স্ট্রাইক নিতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন শামীম। ২৭ বলে ৪৮ রান করেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত সাইফউদ্দিনের ২ বলে অপরাজিত ৬ রানে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.