একদিনের জন্য বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করেছে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী শম্পা। ১১তম আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে শম্পাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবার কন্যা শিশু দিবসের বার্ষিকী উদযাপনের উদ্দেশে, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে মেয়েদের অধিকার সুযোগের ক্ষেত্র বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি বিশেষ ক্যাম্পেইন গার্লস টেকওভারের আয়োজন করেছে। যেখানে মূলত মেয়েদের ক্ষমতায়ন ও মেয়েদের অধিকারের প্রতি সোচ্চার হবার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বব্যাপী কিশোরী এবং যুব নারীদের নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণ করতে, চলমান স্টেরিওটাইপকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য একটি পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মেয়েদের জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে এমন উদ্যোগ এবং সমস্যাগুলোর সাথে তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা মূল্যায়ন করে থাকে। গার্লস টেকওভার হলো বিশ্বব্যাপী প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল-এর একটি উল্লেখযোগ্য ক্যাম্পেইন।
শম্পা বলে, ‘আমি বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নেওয়ার অভিজ্ঞতা দিয়ে আমার এলাকার মেয়েদের অনুপ্রাণিত করতে চাই। যেহেতু আমি জানি যে, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করে, তাই আমি চাই আমাদের কমিউনিটির মেয়েদের শিক্ষায় সহায়তা চলমান থাকুক, যাতে কোনো মেয়ের আর স্কুল ছেড়ে যেতে না হয়।’
শম্পা লেখাপড়া শেষ করে ভবিষ্যতে সাংবাদিক হতে চায়। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের, বিশেষ করে তার কমিউনিটির কিশোরী মেয়েদের সহায়তা করতে চায় সে। রাষ্ট্রদূতের দৈনন্দিন দাপ্তরিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে, সে একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা পরিদর্শন করে যেখানে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেয় এবং তার চিন্তা ও মতামত প্রকাশ করে।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হুইটলি বলেন, ‘জেন্ডার সমতার বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। আসুন আমরা এই আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবসে, বাংলাদেশ তথা সমগ্র বিশ্বে নারী ও মেয়েদের সমর্থন করতে এবং তাদের সমান ক্ষমতা, সমান স্বাধীনতা এবং সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই।’
এই বছরের আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘Invest in Girls’ Rights: Our Leadership, Our Well-being’, এবং জাতীয় প্রতিপাদ্য, ‘বিনিয়োগে অগ্রাধিকার কন্যা শিশুর অধিকার’। এর মূল উদ্দেশ্য- মেয়ে ও যুব নারীরা তাদের অধিকার আদায়ে, সমতা অর্জনে এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে যেসব প্রয়োজনীয় সহায়তা তাদেরেকে দিতে হবে তার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া।
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মেয়েরা ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দূতাবাস, কর্পোরেট অফিস এবং সরকারি বিভিন্ন কার্যালয়ের দায়িত্বপূর্ণ পদে একদিনের জন্য টেকওভার করছে। যা তাদের ক্ষমতায়ন এবং ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগাবে।