যেভাবে গোলের পর গোল করে গেছেন এবং করছেন, এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের ব্যক্তিগত সব পুরস্কার যে আর্লিং হলান্ডই পাবেন, তা অনুমিতই ছিল। সেটাই হচ্ছে।
কয়েক দিন আগেই ইংল্যান্ডের ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এফডব্লুএ) চোখে বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন হলান্ড, সেটাও ৮০ ভাগের বেশি ভোট পেয়ে। এবার প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরা খেলোয়াড় ও সেরা তরুণ খেলোয়াড়, দুটি পুরস্কারই জিতলেন ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজীয় এই স্ট্রাইকার।
প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ফুটবলার একই সঙ্গে সেরা খেলোয়াড় ও সেরা তরুণ খেলোয়াড় হলেন। দারুণ ব্যাপার হচ্ছে, হলান্ড এই দুটি পুরস্কারই পেলেন প্রিমিয়ার লিগে নিজের অভিষেক মৌসুমে।
প্রিমিয়ার লিগে এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৩৫ ম্যাচে ৩৬ গোল হলান্ডের। সিটির লিগ জয়ের পেছনে তো তিনি বড় ভূমিকা রেখেছেনই, চ্যাম্পিয়নস লিগ ও এফএ কাপের ফাইনালে ওঠারও অন্যতম নায়ক হলান্ড।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫১ ম্যাচে ৫২ গোল তাঁর। ২২ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার নিজের অর্জনের কৃতিত্ব ভাগাভাগি করে দিয়েছেন সতীর্থদের, একই মৌসুমে দুটি পুরস্কার জিতে আমি সম্মানিত। যাঁরা আমাকে ভোট দিয়েছেন, ‘সবাইকে ধন্যবাদ। আমার অসাধারণ সতীর্থদের ছাড়া এই পুরস্কারগুলো জেতা সম্ভব হতো না। আমার কোচ, কোচিং স্টাফ সবার কাছে কৃতজ্ঞ আমি। আরও দুটি ফাইনাল বাকি এবং আমরা দারুণভাবে মৌসুমটা শেষ করতে চাই।’
এ নিয়ে পঞ্চমবার প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরা হলেন ম্যানচেস্টার সিটির কোনো খেলোয়াড়। হলান্ডের আগে ভিনসেন্ট কোম্পানি ও রুবেন দিয়াজ জিতেছেন একবার করে, কেভিন ডি ব্রুইনা জিতেছেন দুইবার।
সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেওয়া শুরুই হয় ২০১৮-১৯ মৌসুম থেকে। প্রথম মৌসুমে লিভারপুলের ট্রেন্ট আলেকজান্ডার–আর্নল্ড জেতার পর পরের দুই মৌসুমেই জেতেন ম্যান সিটির ফিল ফোডেন। তারপর এবার হলান্ড।
এ ছাড়া এরই মধ্যে ইংল্যান্ডের প্রফেশনাল ফুটবলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিএফএ) মৌসুম সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন হলান্ড। খুব সম্ভবত সেই পুরস্কারটাও সিটির এই স্ট্রাইকারই পাচ্ছেন। একরকম নিশ্চিত তাঁর ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জেতাও।