ঋতুপর্ণাদের পর এবার সাগরিকাদের ইতিহাস, অনূর্ধ্ব–২০ নারী এশিয়ান কাপেও বাংলাদেশ

0
18
তিন সেরা রানার্সআপের একটি হয়ে অনূর্ধ্ব–২০ নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে উঠেছে বাংলাদেশ, বাফুফে

ঋতুপর্ণাদের পর এবার ইতিহাস গড়লেন সাগরিকারাও! চীনের কাছে লেবানন ৮-০ গোলে হেরে যাওয়ায় সেরা তিন রানার্সআপের একটি হয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে আজ ৬-১ গোলে হারার পর এশিয়ান কাপের মূল পর্বে যাওয়ার অপেক্ষা বাড়ে বাংলাদেশের। তখন সমীকরণ দাঁড়ায়, ‘ই’ গ্রুপে থাকা লেবাননকে চীন হারালেই বাংলাদেশ চলে যাবে মূল পর্বে। শেষ পর্যন্ত চীনের সামনে পাত্তাই পায়নি লেবানন। লেবানন বড় ব্যবধানে হারায় নিশ্চিত হয়ে যায় আট রানার্সআপের পাঁচটিই থাকছে বাংলাদেশের নিচে

দেশের ফুটবল ইতিহাসে সর্বপ্রথম ১৯৮০ সালে কুয়েতে হওয়া এশিয়ান কাপে খেলেছিল পুরুষদের জাতীয় ফুটবল দল। এরপর ২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপে খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা। তারা আরও দুবার ২০১৭ ও ২০১৯ আসরেও খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।

শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হারলেও সমস্য হয়নি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–২০ নারী দলের
শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হারলেও সমস্য হয়নি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–২০ নারী দলের, বাফুফে

সেই পথ ধরে গত জুলাইয়ে মিয়ানমারে ইতিহাস গড়ে জাতীয় নারী ফুটবল দল; এশিয়ান বাছাই উতরে প্রথমবার মূল পর্বের টিকিট কাটেন ঋতুপর্ণা-তহুরারা।
আজ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ড্র করলেই গ্রুপসেরা হয়ে এশিয়ান কাপে নাম লেখাতে পারত বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল। কিন্তু ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সেই উৎসবটা করতে পারেনি পিটার বাটলারের দল।

প্রথমার্ধে তৃষ্ণা রানীর গোলে ১-১’এ সমতা থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে গুনে গুনে পাঁচ গোল হজম করে বাংলাদেশ। তাতেই গ্রুপসেরা হওয়ার আশার গুড়ে বালি পড়ে।
জয় দিয়েই এশিয়ান কাপ বাছাই শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে তাঁরা স্বাগতিক লাওসকে হারায় ৩-১ গোলে। দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দেয়। কিন্তু আজ দক্ষিণ কোরিয়ার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি মেয়েরা।

টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ চার গোল করেছেন তৃষ্ণা। যার মধ্যে পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকও পান তিনি। আর তিন গোল আছে মোসাম্মত সাগরিকার।

২০২৬ সালে প্রথমবার নারী এশিয়ান কাপ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় দলও
২০২৬ সালে প্রথমবার নারী এশিয়ান কাপ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় দলও, এএফসি

২০২৪ সাল থেকে দারুণ ছন্দে ছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল। ১২ ম্যাচ অজেয় থাকার পর আজ দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরেছে মেয়েরা। তার আগে ঘরের মাঠে টানা ৬ জয়ে সাফের শিরোপাও জিতেছে বাংলাদেশ।

এশিয়ার ৩৩টি দল নিয়ে ৬ আগস্ট শুরু হওয়া এই বাছাইপর্ব শেষ হচ্ছে আজ রাতে। যেখানে আট গ্রুপ থেকে সেরা আট দলের মধ্যে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে আগামী বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মূল আসরে।

‎আগামী ১ থেকে ১৮ এপ্রিল থাইল্যান্ডে হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ। যেখানে স্বাগতিক হিসেবে আগেই জায়গা করে নেয় থাইল্যান্ড। তাদের সঙ্গে বাছাই খেলে যোগ্যতা অর্জন করে অন্য ১১ দল। এই টুর্নামেন্টের সফল দল জাপান। তারা এখন পর্যন্ত ৬ বার এশিয়ান কাপ জিতেছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া।

এশিয়ান কাপে ভালো করলে মিলবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী বিশ্বকাপের টিকিটও। থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ১২ দলের এশিয়ান কাপে সেমিফাইনালে যাওয়া চার দল পাবে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ। একই বছরের সেপ্টেম্বরে পোল্যান্ডে হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী বিশ্বকাপের ১২তম আসর। বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও উত্তর কোরিয়া।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.