বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম ‘মিয়াজাকি’। আন্তর্জাতিক বাজারে এই আমের দাম প্রতি কেজি প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে তিন দিনের আম উৎসবে এই আম প্রদর্শিত হচ্ছে। দর্শনার্থীদের মধ্যে এই আম বেশ সাড়া ফেলেছে।
শিলিগুড়িতে সপ্তমবারের মতো এই আম উৎসব হচ্ছে। ৯ জুন শুরু হওয়া এই উৎসবের আয়োজক অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম। সহায়তায় রয়েছে মডেলা কেয়ারটেকার সেন্টার অ্যান্ড স্কুল। উৎসবে দুই শতাধিক জাতের বেশি আম প্রদর্শিত হচ্ছে।
উৎসবে আরেক দামি আম হিসেবে পরিচিত আলফানসোও প্রদর্শিত হচ্ছে। এ ছাড়া আছে ল্যাংড়া, আম্রপালি, সূর্যপুরী, রানিপসন্দ, লক্ষ্মণভোগ, ফজলি, বিরা, সিন্ধু, হিমসাগর, কোহিতুরের মতো জনপ্রিয় জাতের আম।
শিলিগুড়ির আমপ্রেমী স্যান্ডি আচার্য বলেন, তিনি এক জায়গায় অনেক জাতের আম দেখার সুযোগ পেয়েছেন। উৎসবে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমেরও (মিয়াজাকি) দেখা পেয়েছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের কৃষকেরা তাঁদের বাগানে এই আম চাষ করছেন, এ কথা জেনে তাঁর খুব ভালো লেগেছে।
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মিয়াজাকি আমচাষি শওকত হুসেন বলেন, তিনি প্রথমবারের মতো এই উৎসবে অংশ নিয়েছেন। তিনি উৎসবে প্রদর্শনের জন্য মিয়াজাকি জাতের আম এনেছেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে এই জাতের গ্র্যাফটিং চারা এনেছিলেন। পরে তিনি বীরভূমে তাঁর আমবাগানে তা রোপণ করেছিলেন।
শওকত বলেন, তাঁর বাগানে মিয়াজাকি জাতের আমের ব্যাপক ফলন হয়েছে। ক্রেতাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়াও পেয়েছেন তিনি। এই আম রাজ্যের যেকোনো জায়গায় চাষ করা যেতে পারে। এই আম কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারে।
উৎসবের সহ-আয়োজক রাজ বসু বলেন, তাঁরা ২৬২ জাতের বেশি আম এই উৎসবে প্রদর্শন করছেন। উৎসবের প্রধান আকর্ষণ মিয়াজাকি জাতের আম। লোকজন এই আমের চারপাশে ভিড় করছেন। এই আমের ব্যাপারে দর্শনার্থীদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল রয়েছে।
গত শতকের চল্লিশের শতকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রথম এই আমের জাত উদ্ভাবিত হয়। গত শতকের আশির দশকে জাপানের মিয়াজাকি শহরে এই জাত এনে চাষাবাদ করা হয়। পরে জাপানের মিয়াজাকি শহরটির নামেই আমের জাতটি পরিচিতি পায়।