ঝুমুর ঘোষের ভগ্নিপতি সুদীপ মল্লিক বলেন, ঝুমুরের মা-বাবা থাকেন গ্রামের বাড়ি যশোরে। বেলা দুইটার দিকে ঝুমুরের স্বামী পঙ্কজ মুঠোফোনে জানান, ঝুমুর আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে বাসায় আসার পর পুলিশ তাঁদের সামনেই লাশ উদ্ধার করে। তখন তাঁরা দেখেছেন, ঝুমুর ফ্যানের সঙ্গে ঝুল ছিলেন।
পরিবারের আরেক সদস্য জানান, প্রায় ৮ বছর আগে পারিবারিকভাবে ব্যবসায়ী পঙ্কজ বসুর সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁদের ৭ বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে বিভিন্ন সময় স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেই তাঁরা ধারণা করছেন।
পুলিশের উত্তরা অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার আশিকুর রহমান বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, ঝুমুর আত্মহত্যা করেছেন। যে কক্ষ থেকে ঝুমুরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই কক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। তবে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের প্রয়োজন।