দরজায় কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। এই ঈদে গরুর মাংস রান্নার অন্যতম অনুষঙ্গ মশলা। এই ঈদ ঘিরে অস্থির করা হয়েছে মসলা পণ্যের বাজার। বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। রাজধানীর বাজারগুলোতে হাতে গোনা দু-একটির দাম কমলেও বাকি সব মসলার দাম বেড়েছে কয়েক গুণ।
প্রতি কেজি এলাচ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকায়। গেল মাসের তুলনায় কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে জিরার দাম। ঈদ উপলক্ষে এ দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা।
শুক্রবার (২৩ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঊর্ধ্বমুখী মসলার দাম। মানভেদে জিরার কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, দারচিনি ৫২০ টাকা, লবঙ্গ ১৩৫০ টাকা, গোলমরিচ ১২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে এলাচ। সাইজ আর মানভেদে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৮০০ থেকে ৬ হাজার টাকায়।
মসলা ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন জানান, ঈদ উপলক্ষে সামনে মসলার দাম আরও কিছুটা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। বেশিরভাগ সবজিই মিলছে ৩০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। সরবরাহ বেশি থাকায় দাম সাধ্যের মধ্যে আছে বলছেন বিক্রেতারা। যা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে ক্রেতারা।
বাজারে নতুন চাল আসায় নিম্নমুখী চালের দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে আরও ১ থেকে ৩ টাকা কমেছে মিনিকেট চালের দর। আটাশ বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়।
এদিকে, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে সব ধরনের মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। সোনালি ২২০ থেকে ২৩০ আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬১০ টাকায়।