আসন্ন ঈদুল আজহায় লঞ্চে মোটরসাইকেল পরিবহন সীমিতভাবে হবে। যতটুকু এডজাস্ট করা যায় সেভাবে পরিবহন হবে। ঈদে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন নিরাপদ রাখতে ঈদের আগে তিন দিন ও ঈদের পরে তিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে। তবে উক্ত সময়ে কোরবানির পশুবাহী যান ফেরিতে পরিবহন করা যাবে। রাতের বেলায় স্পিডবোট ও বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ঈদের আগে ও পরে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সার্বক্ষণিক (দিন ও রাত) সকল বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নৌপথে স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথাযথ কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ঈদ ব্যবস্থাপনা সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলেও নৌপথের গুরুত্ব কমে নাই। দক্ষিণাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ নৌপথ ব্যবহার করছে। পবিত্র ঈদুুল আজহায় ঢাকার সদরঘাটে যাত্রী পারাপার সামাল দিতে আমরা প্রস্তুত আছি। জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ও গাইবান্ধার বালাশীঘাটের মধ্যে লঞ্চ চলাচল অব্যাহত থাকবে।
সভায় জানানো হয়, আবহাওয়া বার্তা মেনে নৌযান চলাচল করবে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজিরহাট, হরিনা-আলুবাজার ফেরিরুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার মতো উপকূলীয় অঞ্চলে যাত্রী পারাপারে বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। ফিটনেসবিহীন নৌযান যাতে চলাচল করতে না পারে সেজন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্র সাধারণের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতের লক্ষ্যে ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়্যার সেক্টরের নিয়োজিত কর্মীদের এলাকাভিত্তিক পর্যায়ক্রমে ছুটি প্রদানের জন্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নৌপথে আসা কোরবানির পশু এক হাট থেকে যেন অন্য হাটে জোরপূর্বক নিতে না পারে এবং জাল টাকার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পদক্ষেপ নেবে। নিরাপত্তার স্বার্থে কোরবানির পশুরহাটে ব্যাকিং চ্যানেলে লেনদেন করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম ভূইয়া, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (যাত্রী পরিবহন) সংস্থা, স্বরাষ্ট্র, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, পুলিশ, নৌপুলিশ, আবহাওয়া বিভাগ, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ, সংশ্লিষ্ট সড়ক ও নৌপরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সরাসরি ও জুমে (ভার্চুয়ালি) উপস্থিত ছিলেন।