টানা তাপপ্রবাহের পর রাজধানীতে অবশেষে স্বস্তি নেমেছে। আজ শুক্রবার ১৯ দিন পর রাজধানীবাসী দেখা পেলেন বৃষ্টির। এ বৃষ্টি বহু কাঙ্ক্ষিত। কারণ, এর মধ্যে প্রচণ্ড তাপে পুড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। তাই বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো ছিলেন রাজধানীবাসী।
আজ বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। শুধু রাজধানীতে নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। আবার দেশে একদিনের ব্যবধানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি কমেছে। এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে কালবৈশাখী ও বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে, এটা অব্যাহত থাকবে। আগামী দুই দিন দেশের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি কমে যেতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়বে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা।
আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম জানান, ঈদের দিন সারাদেশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে এই বৃষ্টি টানা সব জায়গায় হবে এমন আশা করছি না। থেমে থেমে কোথাও কোথাও হতে পারে। তিনি বলেন, এই বৃষ্টির ফলে সারাদেশে তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে আসতে পারে।
ঈদের দিন আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, রাজধানীতে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি; আর ঢাকার বাইরে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির আভাস রয়েছে। কোথাও তাপপ্রবাহ বিরাজ করলেও বৃষ্টির পর গরম কমতে পারে।
আজ শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি কমেছে। তাপমাত্রা কমছে রাজধানীতেও। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ তা কমে হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।