ই-হজ ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রা অনেক সহজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে চলতি বছরের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ই-হজ ব্যবস্থাপনার কারণে হজযাত্রা অনেক সহজ হয়েছে। এ বছর শতভাগ হজযাত্রী সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন করতে পারবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়ন যেন অব্যাহত থাকে, মানুষ যেন মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে সে লক্ষ্যেই বর্তমান সরকার কাজ করেছে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অল্প খরচে হজে পাঠানোর ব্যবস্থা বঙ্গবন্ধু করে দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু সৌদির বাদশাহর কাছে অনুরোধ করেছিলেন, যেন দেশের মানুষ হজে যেতে পারেন। সৌদি বাদশাহও ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
সরকারপ্রধান বলেন, বাবা সরকারে এসেই হজ ব্যবস্থা যেন সুষ্ঠুভাবে হয় তার ব্যবস্থা নেন। ওই সময় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। রিজার্ভ মানি নেই, কারেন্সি নোট নেই, গোলায় খাবার নেই। এর মধ্যে মানুষ যেন অল্প খরচে হজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা তিনি করেছিলেন। হিজবুল বাহার নামে একটি জাহাজ ক্রয় করে হজের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু ’৭৫ পরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ওই জাহাজটিকে প্রমোদতরীতে পরিণত করে। তখন আর হজ যাত্রা হতো না। এটা দুঃখজনক।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সংসদ সদস্য হাবিব হাছান, ধর্মবিষয়ক সচিক কাজী এনামুল হাসান এনডিসি, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান প্রমুখ।