অ্যাসেক্সে নিভৃত বাস তামিমদের

0
108
ইংলিশরা

ইংলিশরা একটু নির্জনতা পছন্দ করেন। নিজেদের আবাসকে মিডিয়ার প্রচারের বাইরে রাখতে ভালোবাসেন। বাংলাদেশে যেটা উল্টো। প্রচার-প্রচারণা এখানে যাপিত জীবনেরই অংশ। তারকা হলে তো কথাই নেই। সেখানে ক্রিকেট তারকারা একটু বেশিই প্রচারের আলোয় থাকেন। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের অনুশীলন থেকে পণ্যের দূতের পরিচিতি অনুষ্ঠানে মিডিয়া কর্মীর ভিড় লেগে থাকে ঢাকায়। বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা প্রচার পেতে ভালোও বাসেন।

তাঁরাই কিনা ইংল্যান্ডের অ্যাসেক্সে কড়া নিয়মকানুনের বেড়াজালে। ইচ্ছা করলেই হোটেলের ছবি তুলে বা অনুশীলন ভেন্যুর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিতে পারছেন না তাঁরা। বিসিবির অফিসিয়াল পেজেও ব্যক্তিগত সম্পত্তি বা প্রতিষ্ঠানের ভিডিও ব্যবহার করতে মানা। বাংলাদেশ দলের অ্যাসেক্সে পৌঁছানোর ভিডিও পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যে তা মুছেও ফেলতে হয়েছে এ কারণে।

গতকাল যে স্পোর্টস স্কুল লেইসের মাঠে অনুশীলন হলো তামিম ইকবালদের, সেখানেও ভিডিও ধারণ করা বা ছবি তোলায় ছিল বিধিনিষেধের কড়াকড়ি। এমন কড়াকড়ির ভেতরেই মুশফিকের হোটেল ডাউন হলের লনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করতে পারা দারুণ ব্যাপার।

অ্যাসেক্সের দূরের এক গ্রামে রাজকীয় হোটেল ডাউন হল। মূল শহর থেকে গাড়িতে যেতে দেড় ঘণ্টার পথ। যে কারণে তিন দিন হয়ে গেলেও সেভাবে প্রবাসী বাঙালির দেখা পাননি ক্রিকেটাররা। বাড়ির খাবার নিয়ে ক্রিকেটারদের আপ্যায়ন করতে যায়নি কেউই। তবে গতকাল দেশটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম ডাউন হলে গিয়েছিলেন ক্রিকেট দলের সদস্যদের নৈশভোজ করাতে।

অথচ টাইগারদের ইংল্যান্ডের আগের সফরগুলোতে ছিল ভিন্ন চিত্র। পছন্দের ক্রিকেটারদের দেখতে হোটেলে প্রবাসীদের ভিড় লেগে থাকত। বাংলাদেশ দলের একজন সদস্যের মতে, এবারের ইংল্যান্ড সফর ১৫ দিনের নিভৃতে যাপন করা। ডাউন হলে বাঙালির ভিড় না থাকলেও গতকাল লেইসের অনুশীলন মাঠে অটোগ্রাফ শিকারি কম ছিল না। লেইস স্কুলের শিক্ষার্থীরা মুশফিকুর রহিমের অটোগ্রাফ নেন পিছু ধাওয়া করে। জাতীয় দলের এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটারও সানন্দে অটোগ্রাফ দেন ইংল্যান্ডের খুদে ক্রীড়াবিদদের।

ইংল্যান্ড নিয়ে মুশফিকের মধ্যে একটা রোমাঞ্চ থাকারই কথা। ২০০৫ সালে তাঁর আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল এই দেশে। সেই ইংল্যান্ডে মুশফিকরা এবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ম্যাচগুলো হবে আইরিশদের ভাড়া করা ভেন্যু অ্যাসেক্সের চেমসফোর্ডে।

গতকাল ক্রিকেটারদের প্রথম অনুশীলন ছিল ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হতে। লেইসের স্কুল মাঠে নেট সেশন করার সুযোগ-সুবিধা ভালো বলে দাবি বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমামের, ‘বিকেএসপির মতো একটি স্পোর্টস স্কুল এটি। যেখানে ক্রিকেট ম্যাচ খেলার মাঠ আছে। ব্যাটিং, বোলিং অনুশীলনের জন্য বেশ কয়েকটি নেট দিয়েছে। পালা করে সবাই অনুশীলন করছে। ঠান্ডা ছাড়া সবই ভালো এখন পর্যন্ত। তাপমাত্র ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও হাড় কাঁপানো বাতাস।’

দিন গড়ানোর সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে বর্তমান তাপমাত্রায় ম্যাচ খেলতে সমস্যা হবে না বলে মনে করেন ক্রিকেটাররা। আশা করা হচ্ছে, লিটন কুমার দাস, মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসানরা দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর পুরো স্কোয়াড নিয়ে অ্যাসেক্সের আগামী দিনগুলো ভালোই কাটবে বাংলাদেশের

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.