পটপরিবর্তনে হু হু করে বাড়ছে দলের সংখ্যা। নতুন করে আরও ১৪৭টি রাজনৈতিক দল গড়ে উঠেছে। এসব দল তাদেরকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে।
সোমবার (২৩ জুন) ইসি সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য জানিয়েছে।
এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১০ মার্চ আগ্রহী দলগুলোর কাছ থেকে নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করা হয়। ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করে ৬৫টি নতুন রাজনৈতিক দল।
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা দুই মাস বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। বর্ধিত সেই সময় শেষ হয় গত রোববার।
এদিকে রোববার নিবন্ধনের আবেদনের শেষ দিনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জনতার পার্টি বাংলাদেশসহ (জেপিপি) বেশ কিছু দল ইসিতে আবেদন জমা দিয়েছে।
আবেদন জমা দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রতীক ও দলের নাম উল্লেখ করে দলগুলোর নেতারা দাবি করছে ইসির সব ধরনের শর্তপূরণ করেই নিবন্ধন আবেদন করা হচ্ছে। তাদের দল নিবন্ধন পাবে বলে তারা আশাবাদী।
নির্বাচন ভবনে আবেদন জমা দিয়ে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে বলেছি আমরা সকল শর্তাবলি এবং সকল আইন পর্যালোচনা করেই আবেদনটি করেছি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছি। প্রত্যাশা করব যে উনারা নিরপেক্ষভাবে আইন অনুযায়ী উনারা উনাদের কার্যক্রম সম্পাদন করবে। সেক্ষেত্রে এনসিপি যেন কোনো ধরনের বৈষম্যের বা কোনো ধরনের অবিচারের শিকার না হয়। এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা আশাবাদী দ্রুততম সময়ের মধ্যেই জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নিবন্ধন পাবে। নিবন্ধিত দল হিসেবে জনগণের কাছে যাবে।’
আবেদন জমা দিয়ে জেপিবি’র মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি। নিবন্ধন বিধিমালার যে শর্ত আছে সেগুলো পালন করা খুব কষ্টকর। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের এ বিধিমালার কিছু কিছু বিধিমালা সংস্কারের প্রস্তাব রেখেছে। এ প্রস্তাবগুলো কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তারপরও পুরোনো বিধিমালা অনুযায়ী আমরা আবেদন জমা দিয়েছি এবং আমরা আশা করি রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাবো।’