ইসরায়েল ও গাজার মধ্যকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই–এর মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে।
এই সংঘর্ষ যাতে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে চীনের সহায়তা চেয়েছেন ব্লিঙ্কেন। জবাবে ওয়াং ওয়াশিংটনকে এ ক্ষেত্রে ‘গঠনমূলক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা’ পালন করার আহ্বান জানান।
ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন নিহত হন। এর পর থেকে গাজায় ভয়াবহ হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গাজায় বড় ধরনের স্থল অভিযানেরও প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরায়েল।
ওয়াং বলেন, ‘পুরো বিশ্বে প্রভাব ফেলতে পারে, এমন সংকট মোকাবিলা করার সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারা দেশগুলোকে অবশ্যই বস্তুনিষ্ঠতা এবং ন্যায্যতা মেনে চলতে হবে, শান্তি ও সংযম বজায় রাখতে হবে এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে হবে।’
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব বেইজিং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে ‘শান্তি আলোচনা’ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে।
চীনের সরকারি বিবৃতিতে এই সংঘর্ষের নিন্দা জানানো হয়েছে। তবে সেখানে হামাসের নাম উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বানের পাশাপাশি ‘নির্বিচার শক্তি ব্যবহার’–এর নিন্দা জানানো হয়েছে। এবং ‘গাজার সব জনগণকে যে শাস্তি’ দেওয়া হচ্ছে, তা–ও বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
বিবিসি