ইরানে বাংলাদেশি দূতাবাস কর্মকর্তার বাড়িতে ইসরায়েলের হামলা

0
15
তেহরানের আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি হামলার পর উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। ছবি: বিবিসি

তেহরানে ইসরায়েলের হামলায় সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বাসভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) ইসরায়েলি হামলায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, অন্তত একজন কর্মকর্তার বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে ওই কর্মকর্তা হামলার সময় বাড়িতে না থাকায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন। ভুক্তভোগী বাংলাদেশি দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ওয়ালিদ ইসলাম সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, ‘আমার বাসা পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিয়েছে।’

তেহরানে বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা সাধারণত জর্ডান নামে পরিচিত এক আবাসিক এলাকায় থাকেন, যা শহরের তিন নম্বর জেলায় অবস্থিত। ওই এলাকায় ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। সোমবার ইসরায়েল সেসব স্থাপনায় পূর্ব ঘোষণা দিয়ে হামলা চালায়।

হামলার আগে এলাকাবাসীকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। ফলে প্রাণহানির ঝুঁকি কিছুটা কমলেও অসংখ্য ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওয়ালিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের আশপাশে এখন আর কিছুই নেই। কেবল কূটনীতিকদের কয়েকটি বাড়ি টিকে আছে, বাকিটুকু ধ্বংসস্তূপ।’

ইরানে বাংলাদেশি দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ওয়ালিদ ইসলাম

হামলার ঘোষণা পাওয়ার পরই তেহরানের তিন নম্বর জেলায় অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বাংলাদেশি নাগরিকদের সেখান থেকে সরে যেতে নির্দেশ দেয় ঢাকা। পরে দূতাবাস কমপ্লেক্স খালি করে কর্মকর্তারা শহরের অন্যত্র আশ্রয় নেন।

কিন্তু হামলার পরিসর ক্রমেই বাড়তে থাকায় এখন তেহরান ছেড়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে আজ ঢাকায় মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক বলেন, ‘আমরা তেহরানে অবস্থানরতদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাদের যাতে আর ক্ষতির আশঙ্কা না থাকে, সেজন্যই দূতাবাসের কর্মকর্তা ও অন্যান্য নাগরিকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি।’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, তেহরানে বর্তমানে প্রায় ৪’শত বাংলাদেশি রয়েছেন এবং তারা সবাই অক্ষত আছেন।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.