ইয়ামাল জাদুতে লা লিগা চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা

0
17
লা লিগা চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা

নব্বই দশক থেকে বার্সেলোনা নিজেদের মাঠে মাত্র দুবার লা লিগার শিরোপা জয় নিশ্চিত করতে পেরেছে। কিন্তু একুশ শতকে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলের মাঠে তার চেয়ে বেশিবার লিগ শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে।

২০১৩ সালে এস্পানিওলের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদ ড্র করায় লিগ নিশ্চিত হয়েছিল বার্সার। ২০২৩ সালে এস্পানিওলের মাঠেই লিগ জয় নিশ্চিত হয়েছিল গাভি-পেদ্রিদের। আর এবারও এস্পানিওলকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে নিজেদের ২৮তম লিগ শিরোপা জয় নিশ্চিত করলো হান্সি ফ্লিকের দল। সর্বোচ্চ ৩৬বার লিগ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল।

বার্সেলোনার সামনে সহজ হিসাব ছিল। এস্পানিওলকে তাদের মাঠে হারাতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন। আরসিডিই স্টেডিয়ামে লামিন ইয়ামাল জাদুতে বার্সা তা করতে সক্ষমও হলো। ইয়ামাল গোল করলেন, করালেন, কেড়ে নিলেন সব আলো। তার জাদুতে ভর করেই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে দিলো ২-০ গোলের ব্যবধানে। বার্সা হলো চ্যাম্পিয়ন!

এই জয়ে বার্সার পয়েন্ট দাঁড়ালো ৮৬, যা দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের থেকে ৭ পয়েন্ট বেশি। হাতে আছে মাত্র দুটি ম্যাচ, ফলে আর কোনোভাবেই ফ্লিকের দলকে রিয়ালের পক্ষে ধরা সম্ভব নয়।

এতে বার্সা কোচ হিসেবে প্রথম মৌসুমেই দারুণ সাফল্য পেলেন ফ্লিক। ক্লাবটিতে অভিষেক মৌসুমেই জিতলেন কোপা দেল রে, লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ। এমন সফল মৌসুমে শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগটাই অধরা রয়ে গেল এই জার্মান কোচের।

বার্সাকে অবশ্য ম্যাচে গোলের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে ৫৩ মিনিট পর্যন্ত। ইয়ামাল ডান পাশ থেকে ভেতরে এসে বাম পায়ের বাঁকানো শটে গোল করেন, যা ইউরো সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে করা তার গোলের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল। এরপর ৯৫ মিনিটে তার পাস থেকে ফেরমিন লোপেজের গোলে নিশ্চিত হয় জয়।

শেষ দিকে এস্পানিওল ১০ জনের দলে পরিণত হয়। লিয়ান্দ্রো কাবরেরা ইয়ামালের পেটে কনুই মেরে লাল কার্ড দেখেন। এক খেলোয়াড় কম নিয়েও অবশ্য স্বাগতিকরা বার্সাকে চেপে ধরেছিল, কিন্তু এদিন ভবিতব্য লিখে রেখেছিল বার্সার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গল্প।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.