পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিদেশে যেতে পারবেন না ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি এবং পিটিআইয়ের কয়েকজন শীর্ষ নেতা ও সাবেক আইনপ্রণেতা।
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পর্যায়ের কয়েকটি দপ্তরের অনুরোধে এ নিষেধাজ্ঞার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ ছাড়াও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফআইএ ও ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) রয়েছে। পুলিশ, কেন্দ্রীয় সন্ত্রাসবাদবিরোধী দপ্তর, প্রাদেশিক দুর্নীতিবিরোধী দপ্তর, এনএবি এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে এ তালিকার জন্য নাম পাঠানো হয়েছে।
ইমরান খান সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা চান
প্রভিশনাল ন্যাশনাল আইডেন্টিফিকেশন লিস্ট (পিএনআইএল) নামের এ তালিকায় ইমরান ও বুশরা বিবি ছাড়াও পিটিআইয়ের নেতা আসাদ ওমর, ফাওয়াদ চৌধুরী, মালেকা বুখারি, কাসিম সুরি, আসাদ কায়সার, মুরাদ সায়েদ, হাম্মাদ আজহার, ইয়াসমিন রশিদ, মিয়া আসলাম ইকবালসহ কয়েকজনের নাম রয়েছে।
৯ মে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানজুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছিল। এসব ঘটনায় পিটিআইয়ের এসব নেতা সম্পৃক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া পিটিআইয়ের এসব নেতা ও সাবেক আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
তাই ইমরান, বুশরা বিবিসহ এসব রাজনীতিকের নামসহ পিএনআইএল তালিকা পাকিস্তানের সব কটি বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
পাকিস্তানে সেনা কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার সন্দেহভাজন খাদিজা শাহ গ্রেপ্তার
পাকিস্তানজুড়ে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পিটিআইয়ের নেতাদের ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে দলটির অনেক নেতা বিদেশে পাড়ি দেওয়া চেষ্টা করেছেন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাঁদের দেশ ছাড়ার সেসব চেষ্টা ঠেকানো হয়েছে।
এদিকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরিপ্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার একটি টুইট করেছেন ইমরান খান। এতে তিনি বলেছেন, পাকিস্তান ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা আপাতত তাঁর নেই। এ ছাড়া ইমরান লিখেছেন, বিদেশে কোনো সম্পত্তি কিংবা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তাঁর নেই। এরপরও এ তালিকায় নাম দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাতে চেয়েছেন ইমরান খান।