যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম জাভার সিয়ানজুর অঞ্চল ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল। রাজধানী জাকার্তায়ও এই কম্পন অনুভূত হয়। আতঙ্কিত বাসিন্দারা ভবনের বাইরে নেমে আসেন।
ভূমিকম্পে সিয়ানজুর শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেখানকার স্থানীয় প্রশাসনের প্রধান হেরমান সুহেরমান স্থানীয় কমপাস টিভিকে বলেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে হতাহত ব্যক্তিদের নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রায় ৭০০ জন আহত হয়েছেন।
হেরমান সুহেরমান বলেন, আহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই ভবনের ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে শরীরে আঘাত পেয়েছেন।
সিয়ানজুর শহরের স্থানীয় প্রশাসনের মুখপাত্র আদম এএফপিকে বলেন, ভূমিকম্পে কয়েক হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। অনেক ইন্দোনেশীয়র মতো তাঁর নামও একটি অংশমাত্র ।
টেলিভিশনগুলোর খবরে দেখা যায়, সিয়ানজুরে কয়েকটি ভবন একেবারে ধসে পড়েছে এবং সেগুলোর ধ্বংসাবশেষ সড়কে পড়ে আছে।
সুহেরমান বলেন, হতাহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা শহরের সায়াং হাসপাতালে ভিড় করছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, শহরের বাইরে গ্রামবাসীর অনেকে এখনো ধসে পড়া বাড়িঘরে আটকা পড়ে থাকতে পারেন।
সুহেরমান বলেন, ‘এই হাসপাতালে আমরা এখন গুরুতর আহত লোকজনকে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি। গ্রামগুলো থেকে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স আসছে। গ্রামগুলোতে এখনো বহু পরিবার রয়ে গেছে, যাদের এখনো উদ্ধার করা যায়নি।’
প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ জোনে ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান হওয়ায়, সেখানে প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা দেখা যায়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দেশটিতে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটে থাকে।