দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া স্কুলশিক্ষার্থী আপ্রিজাল মুলাইদি (১৪) বলেছে, ‘ভূমিকম্পে পুরো কক্ষটি ধসে পড়ে। এ সময় ধ্বংসস্তূপের নিচে আমার পা চাপা পড়ে যায়।’ একপর্যায়ে বন্ধু জুলফিকার তাকে ধাক্কা দিয়ে নিরাপদে সরিয়ে দিলে সে বেঁচে যায় বলে জানায় আপ্রিজাল মুলাইদি। কিন্তু আটকে পড়া জুলফিকার সেখানেই প্রাণ হারায়।
আপ্রিজাল মুলাইদি আরও জানিয়েছে, ভবনের ছাদ ও দেয়াল ধসে পড়ায় লোকজন আটকা পড়ে যায়। সবকিছুই খুব দ্রুত ঘটে।
ভূমিকম্পে নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই স্কুলশিক্ষার্থী বলে নিশ্চিত করেছেন ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার (বিএনপিবি) সদস্য হেনরি আলফিয়ানদি। তিনি বলেছেন, হতাহতদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি ছিল। কারণ, বেলা একটার দিকে তারা সবাই স্কুলে ছিল।
গতকাল সোমবার ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশটির পাহাড়ি এলাকায় আঘাত হানে। এতে পার্শ্ববর্তী সিয়ানজুর শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভূমিধসের ফলে অন্তত একটি গ্রাম মাটিচাপা পড়ে।