আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ পরিবহনে ৪ টেরাবাইট প্রতি সেকেন্ড সরবরাহের নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)।
স্টারলিংকের মাধ্যমে জুলাই মাসে কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা চালুর পর ১ আগস্ট এই মাইলফলক অর্জন করে বিএসসিপিএলসি।
এর আগে, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিসিএল) প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথ পরিবহনে ৩ টেরাবাইট/সেকেন্ডের মাইলফলক অতিক্রম করে। প্রতিষ্ঠানটি ২৮ এপ্রিল ৩.৩৪ টিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করেছে, যা মাস শেষে ৩.৪৬ টিবিপিএসে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এসব তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, গত আট মাসে বিএসসিসিএলের ব্যান্ডউইথ ব্যবহার ১.১০ টেরাবাইট বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সময় প্রতিষ্ঠানটির ৬৫ শতাংশের বেশি সক্ষমতা অব্যবহৃত ছিল। তবে সরকারের নীতিগত সহায়তা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নির্দেশনা, ব্যবস্থাপনার আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং মূল্যছাড়ের ফলে এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।
ফয়েজ তৈয়্যব আরও জানান, ব্যান্ডউইথ বাজারে বিএসসিসিএলের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির ফলে কোম্পানির রাজস্ব উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সম্প্রতি বিটিআরসি তার লাইসেন্সিং গাইডলাইন সংশোধন করে সব আইআইজি অপারেটরকে তাদের ব্যবহৃত ব্যান্ডউইথের অন্তত ৫০ শতাংশ সাবমেরিন ব্যান্ডউইথ থেকে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।
সাবমেরিন ব্যান্ডউইথ ব্যবহারে উৎসাহ দিতে বিএসসিসিএল ৫০ শতাংশের বেশি সাবমেরিন ব্যান্ডউইথ ব্যবহারকারী আইআইজি অপারেটরদের জন্য অতিরিক্ত মূল্যছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যা শিগগিরই বাস্তবায়ন হতে পারে।
এছাড়াও, ডেটা সেন্টার, ক্লাউড এবং হাইপার স্কেলারদের জন্য আলাদা ইন্টারনেট প্যাকেজ ঘোষণার পরিকল্পনাও রয়েছে।
ফয়েজ তৈয়্যব আশা প্রকাশ করেন, দেশে সাবমেরিন ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের হার বাড়লে ইন্টারনেট সেবা আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাবে।