মাঝেমধ্যে উধাও হয়ে যাচ্ছে নেটওয়ার্ক। ধীরগতিতে চলছে স্মার্টফোন। উল্লিখিত সমস্যায় ভুক্তভোগী কমবেশি অনেকেই। দুর্বল নেটওয়ার্কের পেছনে কয়েকটি ভুল কাজ করে, যা হয়তো অনেকেরই অজানা। কী সেসব ভুল, কীভাবে ফোনের নেটওয়ার্ক ঠিক করবেন– জেনে নেওয়া যাক সেসব তথ্য। ডিভাইসে দুর্বল নেটওয়ার্ক বড় সমস্যার একটি। যদি দরকারের সময় তা ভোগান্তির কারণ হয়, তা বাড়াবে দুর্ভোগ।
সিগন্যাল
সিগন্যাল দুর্বল হলে স্বাভাবিকভাবেই ফোনে নেটওয়ার্ক আসবে না। নেটওয়ার্ক গুচ্ছের সেটিংস চেঞ্জ করলেও অবস্থা একই থাকবে। তাই এমন জায়গায় আসুন, যেখানে সিগন্যাল ভালো। যেমন– জানলার কাছে বা খোলা জায়গায়। অন্যদিকে যে সিম ব্যবহার করছেন, তার কাভারেজ ম্যাপ চেক করতে হবে ইন্টারনেটে। যেখানে সিগন্যাল কাভারেজ, সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করবেন; তাহলে ভালো নেটওয়ার্ক পাবেন।
কনজেশন
যখন একসঙ্গে কয়েকটি নেটওয়ার্ক ক্যারিয়ার ব্যবহার শুরু করেন, তখন সেই সময়কে বলে নেটওয়ার্ক কনজেশন। সাধারণত যেখানে বেশি গ্রাহকের উপস্থিতি থাকে, যেমন– কনসার্ট, ক্রিকেট-ফুটবল ম্যাচ এমন স্থান। ওই সময় অপারেটর নেটওয়ার্কের বদলে ওয়াইফাই ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। আর তখন এমন অ্যাপ ব্যবহার করবেন, যা তুলনামূলক কম ডেটায় চলতে সক্ষম।
সফটওয়্যার
স্মার্টফোনে যদি পুরোনো সফটওয়্যার থাকে, তাহলে কল ড্রপ, স্লো ইন্টারনেট এমন সমস্যায় ভুগতে পারেন। সিগন্যাল ভালো পেলেও ইন্টারনেট হয় দুর্বল। তাই স্মার্টফোনের সফটওয়্যার সংস্করণ দেখে নিতে হবে। নতুন আপডেট এসে থাকলে তা অবশ্যই ফোনে ইনস্টল করে নিতে হবে।
সিমকার্ড
সিমকার্ডে যদি কোনো দাগ থাকে বা ভুলভাবে ইনস্টল করা হয়, সে ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক সমস্যা ভোগাতে পারে। সে জন্য প্রথমে মোবাইলের সিম স্লট থেকে সিমকার্ড বের করতে হবে। তারপর চেক করবেন তাতে কোনো স্ক্র্যাচ বা নোংরা দৃশ্যমান কিনা। যদি নোংরা থাকে, তাহলে পরিষ্কার করে তবেই ফোনে সিম ইনস্টল করা শ্রেয়।
ডিভাইস
অন্যসব ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যেমন– মাইক্রোওয়েভ, কর্ডলেস ফোন, ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক দ্বারা ইন্টারনেট সংযুক্ত থাকলে তা ফ্রিকোয়েন্সিকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে ফোনে সিগন্যাল নাও আসতে পারে। তাই এমন সব ডিভাইসের সামনে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার কিছুটা এড়িয়ে চলতে হবে।
যন্ত্রের কারণে ফোনে ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড আসতে বাধা পায়। তাই ইলেকট্রনিক ডিভাইস নেই এমন জায়গায় মোবাইল ব্যবহার করলে নেটওয়ার্ক ফ্রিকোয়েন্সিতে বাধা কম আসে।
মুস্তাফা তৌহিদ