সাইপ্রাসের পাফোস এফসি আর নরওয়ের বোডো/গ্লিমট এ মৌসুমে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। গতকাল রাতে প্লে-অফ পেরিয়ে মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে তারা। এই দুই দল ছাড়াও এ মৌসুমে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে কাজাখস্তানের কাইরাত আলমাটি এবং বেলজিয়ামের চ্যাম্পিয়ন ইউনিয়ন সেইন্ট-জিলোয়া।
মাত্র ১১ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত পাফোস মঙ্গলবার রেড স্টার বেলগ্রেডের মাঠে শেষ মুহূর্তে ১-১ ড্র করে। এর ফলে প্লে অফের দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে তারা। অন্যদিকে অস্ট্রিয়ার স্টার্ম গ্রাজকে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-২ ব্যবধানে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বোডো/গ্লিমট। দ্বিতীয় লেগে অবশ্য ২-১ গোলে হেরেছে তাঁরা।
পাফোস চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নেওয়ার পথে যাত্রা শুরু করেছিল ২২ জুলাই দ্বিতীয় কোয়ালিফায়িং রাউন্ড দিয়ে। প্রথমে তারা হারায় ম্যাকাবি তেল আবিবকে। এরপর পাফোসের কাছে হারের শিকার হয়ে ছিটকে পড়ে দিনামো কিয়েভ।
পরবর্তীতে দলটি মুখোমুখি হয় রেড স্টার বেলগ্রেডের। সার্বিয়ান ক্লাবটির বিপক্ষে প্রথম লেগে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল তারা। এরপর দ্বিতীয় লেগে জমে উঠা লড়াইয়ে শেষ মুহূর্তের গোলে ১–১ ড্র করে পাফোস। যা দুই লেগ মিলিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের আসল লড়াইয়ে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে দলটিকে।
পাফোস ক্লাব হিসেবে খুব একটা পরিচিত না হলেও তাদের একজন খেলোয়াড় বেশ বিখ্যাত। চেলসি ও আর্সেনালের সাবেক ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ডেভিড লুইজকে দলে টেনেছে তারা। ৩৮ বছর বয়সী লুইজের নতুন এই দলটি সাইপ্রাসের তৃতীয় ক্লাব হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলবে তারা। এর আগে সাইপ্রাস থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলেছে শুধু অ্যাপোয়েল আর আনোরথসিস ফামাগুস্তা।
চারবারের নরওয়েজিয়ান লিগ জয়ী বোডো/গ্লিমট ২০০৭-০৮ মৌসুমের পর প্রথম নরওয়েজীয় ক্লাব হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের মূলপর্বে জায়গা করে নিল। আর্কটিক সার্কেল থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই ক্লাবের ঘরের মাঠ আস্পমিরা স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা মাত্র ৮ হাজার ২৭০। গত মৌসুমে তারা ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে উঠেছিল, যদিও শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়া টটেনহামের কাছে হেরে বিদায় নেয়।
অন্য দিকে কাজাখ চ্যাম্পিয়ন কাইরাত পরশু রাতে সবচেয়ে বড় চমক উপহার দিয়েছে। টাইব্রেকারে তারা হারিয়েছে সাবেক ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন সেল্টিককে। দ্বিতীয় কাজাখ ক্লাব হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের মূলপর্বে উঠেছে কাইরাত।

এর আগে ২০১৫-১৬ মৌসুমে কাজাখ ক্লাব আস্তানা প্রথমবারের মতো খেলেছিল ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে। কাইরাতের বিপক্ষে খেলতে আলমাটি শহরে যেতে ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর একটি হতে পারে।
গত মৌসুমে চেলসিকে ৩,৬০০ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে আস্তানার মাঠে খেলতে হয়েছিল কনফারেন্স লিগে। এবারও তেমন দূরত্ব পাড়ি দিতে হতে পারে ক্লাবগুলোকে। এ ছাড়া ২০২৪–২৫ মৌসুমে বেলজিয়ান প্রো লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে আরেক নবাগত জিলোয়া।
চ্যাম্পিয়নস লিগের মূলপর্বের ড্র হবে বৃহস্পতিবার মোনাকোতে। প্রথম রাউন্ডের ম্যাচগুলো হবে ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর।