নিজ ইচ্ছায় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা চীনের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম উইবোতে খুলে বলেছেন ঝ্যাং। তিনি বলেন, তাঁর এক বন্ধু করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। করোনায় আক্রান্ত হতে ওই বন্ধুকে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর জ্বর, গলাব্যথা ও শরীরে ব্যথার মতো করোনার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয় তাঁর শরীরে। তবে টানা এক দিন ও এক রাত ঘুমানোর পর এসব উপসর্গ চলে
যায়। সুস্থ হওয়ার জন্য কোনো ওষুধও নিতে হয়নি তাঁকে। খেয়েছিলেন শুধু প্রচুর পরিমাণে পানি আর ভিটামিন সি।
৩৮ বছর বয়সী এই সংগীতশিল্পী কেন স্বেচ্ছায় করোনায় আক্রান্ত হলেন—এমন প্রশ্ন উঠতে পারে। জবাবটা দিয়েছেন তিনি নিজেই। তাঁর ভাষ্য, আর কিছুদিন বাদেই নতুন বছর। এ সময় আয়োজন
করা হবে নানা অনুষ্ঠানের। নতুন বছর শুরুর আগমুহূর্তে তাঁর একটি গানের অনুষ্ঠান আছে। সে সময় যেন করোনায় আক্রান্ত না হন, তাই আগেভাগেই আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে স্বেচ্ছায় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা জানান দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন জেন ঝ্যাং। কারণ, চীনে এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। রোগীদের চিকিৎসা
দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। শেষমেশ বিতর্কের মুখে পড়ে উইবোতে নিজের পোস্টটি মুছে দিয়েছেন ঝ্যাং। পরে আরেকটি পোস্ট দিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। তথ্যসূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট