জানা গেছে, আটকে থাকা ২৬ কোটি টাকার মধ্যে শুধু নগদের কাছেই ১৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা রয়েছে। বিকাশে ৪ কোটি ৯১ লাখ ও এসএসএল কমার্জে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা আটকে আছে। আরও কিছু টাকা রয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংক ও উপায় নামক গেটওয়েতে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স সেল গত ডিসেম্বরে গ্রাহকের সংখ্যা এবং পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ জানাতে বললেও ইভ্যালি পুরোপুরি তথ্য দিতে পারেনি।
এত দিন কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের দায়িত্বে ছিলেন সদ্য অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান। এ পদে নতুন কেউ নিয়োগ পাননি। ফলে সেলের একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে কাজ করছেন উপসচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলী।
হাইকোর্টের আদেশে গত ২৮ অক্টোবর ইভ্যালি নতুনভাবে কার্যক্রম চালু করে। ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নতুন পর্ষদ এখন প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছে। পর্ষদে শামীমা নাসরিনের আত্মীয়স্বজনই বেশি।
২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির এক গ্রাহক জালিয়াতি ও আত্মসাতের অভিযোগ এনে মোহাম্মদ রাসেল ও শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করলে পরদিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শামীমা নাসরিন জামিনে বের হলেও মোহাম্মদ রাসেল এখনো কারাগারে।
জানতে চাইলে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন আজ সোমবার বলেন, ‘গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পুরো তালিকা না পাওয়ায় যথাসময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তা জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা যে গ্রাহকেরা পাবেন, তা আশা করা যায়।’