ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র

ফক্স নিউজকে ট্রাম্প

0
17
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুদ্ধ–পরবর্তী ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা পাঠানো হবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের সরাসরি সম্প্রচারে এ কথা বলেন তিনি।

গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। সেখানে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের একটি চুক্তি হলে তারপর কীভাবে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তায় সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

আজ ফক্স নিউজের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই নিরাপত্তা নিশ্চয়তা কেমন হতে পারে? জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ অন্যরা চায় ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে। ‘আমি মনে করি না, এটি কোনো সমস্যা হতে যাচ্ছে।’ তবে যুক্তরাষ্ট্র যে ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে না, তা জানিয়ে দেন তিনি।

হোয়াইট হাউসে গতকালের বৈঠক কেমন হয়েছে, জানতে চাইলে ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের ‘ভালো মানুষ’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তাঁরা যুদ্ধ থামাতে চান। সংঘাতটা তাঁদের কাছাকাছি হচ্ছে। তাই বিষয়টি তাঁদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভিন্ন। নিরাপত্তার দিক দিয়ে, তাঁরা ইউক্রেনের সেনা মোতায়েন করতে আগ্রহী।

ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে জেলেনস্কি ও তাঁর ইউরোপীয় মিত্রদের যে মাথাব্যথা ছিল, তা গতকালের বৈঠকের মধ্য দিয়ে অনেকটাই লাঘব হয়েছে বলে মনে হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আজ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার লিখেছেন, ইউরোপের নেতারা ও ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকে দুটি লক্ষ্যের দিকে অগ্রগতি হয়েছে। একটি হলো নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়ে বড় অগ্রগতি। শান্তিচুক্তি হলে এই নিরাপত্তা নিশ্চয়তাগুলো কার্যকর করা হবে। অপরটি হলো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে জেলেনস্কির সম্ভাব্য বৈঠক।

এর আগে গত রোববার ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে একটি ধারণা দিয়েছিলেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়া হবে না। তবে দেশটির নিরাপত্তায় ন্যাটো সনদের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের মতো ভাষা ব্যবহারে সায় দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। অনুচ্ছেদ-৫-এ বলা হয়েছে, ন্যাটোর কোনো একটি দেশ আক্রান্ত হলে অন্য দেশগুলো এগিয়ে আসবে।

বিবিসি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.