ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহের পদক্ষেপকে ক্রেমলিন একটি উসকানি হিসেবে গণ্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রায় ১০ মাস পার হয়েছে। সামনেই বড়দিন বা ‘ক্রিসমাস’। এ উপলক্ষে যুদ্ধবিরতির কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে মস্কো।
যুদ্ধ বন্ধে বর্তমানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কোনো সংলাপ হচ্ছে না। এখন ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক লড়াই চলছে। পাশাপাশি রাজধানী কিয়েভসহ গোটা ইউক্রেনে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ অবকাঠামোয় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে রুশ বাহিনী।
রাশিয়ার এ ধরনের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে কিয়েভ। রুশ হামলার কারণে লাখো ইউক্রেনীয় বর্তমানে বিদ্যুতহীন অবস্থায় রয়েছে। তীব্র শীতের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় তারা নিজেদের ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে পারছে না।
ইউক্রেন দাবি করেছে, রাজধানী কিয়েভে হামলা করতে পাঠানো ১৩টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো বলেন, মধ্য শেভচেকিভস্কি জেলায় তিনটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। দুটি প্রশাসনিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের কথা তিনি জানাননি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রের সম্মুখভাগের পরিস্থিতি শান্ত নয়। কামানের গোলায় পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলো রাশিয়া ধ্বংস করে দিচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে জেলেনস্কি বলেছিলেন, সংঘাত অবসানের অংশ হিসেবে রাশিয়ার উচিত আসন্ন ক্রিসমাসের মধ্যে ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করা।
তবে জেলেনস্কির এই প্রস্তাব দ্ব্যর্থহীনভাবে নাকচ করে দিয়েছেন মস্কো। তারা বলেছে, ইউক্রেনকে অবশ্যই রাশিয়ার কাছে ভূখণ্ড খোয়ানোর বিষয়টি মেনে নিতে হবে। তারপর অন্য কথা।