ইউক্রেনে বাঁধ ভাঙার পর ছাদে-গাছে রাত কাটাচ্ছে মানুষ

0
200
নোভা কাখোভকা বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর ২৪ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ নোভা কাখোভকা বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর ২৪ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আরও ৮০ গ্রাম-শহর প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এরই মধ্যে এসব এলাকা থেকে প্রায় এক হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া। এই অঞ্চলের ৪২ হাজার বাসিন্দার মধ্যে অনেকে বাস ও ট্রেনে করে শহর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। যারা কোথাও যেতে পারেননি তারা পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেকে বাড়ির ছাদে এবং গাছে চড়ে রাত কাটাচ্ছেন।

কাখোভকা বাঁধ এ অঞ্চলে পানীয় জল থেকে শুরু কৃষি ও জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রভাব রাশিয়ার দখলে নেওয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত। এখন দিনিপ্রো নদীর স্রোত খেরসন শহরকে ভয়াবহ বন্যার ঝুঁকিতে ফেলেছে।

ইউক্রেনীয় টেলিভিশনে ডেপুটি প্রসিকিউটর-জেনারেল ভিক্টোরিয়া লিটভিনোভা বলেছেন, দিনিপ্রো নদীর পশ্চিমে ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের ১৭ হাজার ও রাশিয়ান নিয়ন্ত্রিত পূর্ব তীর থেকে ২৫ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিতে হবে।

মঙ্গলবার ভোরে বাঁধটি কী কারণে ভেঙেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনার জন্য মস্কো ও কিয়েভ একে অপরকে দায়ী করেছে। ইউক্রেন বলেছে, তাদের সেনা যাতে দক্ষিণ ইউক্রেন যেতে না পারে, সেজন্যই রাশিয়া এই কাজ করেছে। আর মস্কোর অভিযোগ, ইউক্রেনের বাহিনী গোলা মেরে এই কাজ করেছে।

এই বাঁধ তৈরি হয়েছিল সোভিয়েত আমলে। এখান থেকে ঝাপোরিজ্ঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি সরবরাহ করা হতো। একইসঙ্গে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ অঞ্চলেও যেত পানি। এই অঞ্চল ২০১৪ সালে রাশিয়া দখল করে নিয়েছে। এই বাঁধের পাশের এলাকাও রাশিয়ার দখলে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, গত কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপে এটাই সবচেয়ে বড় পরিবেশগত বিপর্যয় এবং যার জন্য মানুষই দায়ী। তার দাবি, এই শক্তপোক্ত বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সাধারণ কারণে ভেঙে পড়া সম্ভব নয়। রাশিয়াই এটি ভেঙেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.