বিগত কয়েক মাসের মধ্যে ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আজ রোববার দেশটি লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছুড়েছে মস্কো। এতে ইউক্রেনজুড়ে অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলাকে ‘নারকীয়’ বলে উল্লেখ করেছে কিয়েভ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তাঁর দেশ লক্ষ্য করে ১২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ১০০টি ড্রোন ছুড়েছে রাশিয়া। এগুলো দিয়ে রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির দক্ষিণ, মধ্য ও পশ্চিম প্রান্তে হামলা চালানো হয়েছে। এতে মিকোলাইভ, লিভ, খেরসন, নিপ্রোপেত্রভস্ক ও ওদেসা অঞ্চলে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
আজকের হামলার পর ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইগনাত বলেছেন, নারকীয় একটি রাত গেল। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার ছোড়া ১৪৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিহত করা হয়েছে।
রাশিয়া এমন সময় ব্যাপক এই হামলা চালাল, যখন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে অগ্রগতি পাচ্ছে তারা। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে হোয়াইট হাউসে বসতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে এত দিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কিয়েভ যে সহায়তা পাচ্ছিল, তা অব্যাহত থাকা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এই হামলার দুই দিন আগেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেছিলেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। ফোনকলে তিনি পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান। শলৎজের ওই ফোনের কড়া সমালোচনা করেছিল কিয়েভ। আর আজ তারা বলেছে, এই হামলার মাধ্যমে শলৎজের আহ্বানের প্রকৃত জবাব দিয়েছে ক্রেমলিন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিগা বলেছেন, সম্প্রতি পুতিনকে যাঁরা ফোন করেছেন এবং তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন, তার প্রকৃত জবাব এভাবে হামলার মাধ্যমে দিলেন তিনি। ইউক্রেন শক্তি প্রদর্শন করে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চায়, কাউকে খুশি করার মাধ্যমে নয়।