ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়ার ছোড়া ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৬০টি তারা ভূপাতিত করতে পেরেছে। তবে মস্কো বলেছে, তারা ১৭টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতের ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, এই হামলার ফলে প্রতিবেশী মলদোভায়ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাশিয়ার এ ধরনের ব্যাপক সন্ত্রাসী হামলা কেবল ইউক্রেনের জন্য নয়, বরং গোটা অঞ্চলের জন্যই হুমকি, যা আবারও প্রমাণিত হলো।
রাশিয়ার আগের হামলাগুলোয় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে লাখ লাখ ইউক্রেনীয়কে বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়তে হয়েছে। তারা ঘর গরম রাখতে পারছে না। ইতিমধ্যে দেশটিতে শীত মৌসুম শুরু হয়েছে।
রাশিয়া এ ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে বলে কয়েক দিন ধরে সতর্ক করা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার অনেক ভেতরে অবস্থিত দুটি বিমানঘাঁটিতে কয়েকটি বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলা চালানো হলো। রুশ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ইউক্রেনীয় ড্রোন ঠেকিয়ে দিলে ওই বিস্ফোরণ হয় বলে দাবি করেছে মস্কো।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন সেনা নিহত হয়েছেন। দুটি উড়োজাহাজ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে এ বিষয়ে ইউক্রেন কোনো মন্তব্য করেনি।
ইউক্রেনের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থায় গত ১০ অক্টোবর ব্যাপক আকারের সমন্বিত হামলা শুরু করে রাশিয়া। এরপর দেশটির প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে লাখ লাখ ইউক্রেনীয় বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। দেশটিতে শীতকালে তাপমাত্রাও শূন্যতে গিয়ে ঠেকেছে।